সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন দেশে মাথাপিছু আয় ২৫৯৩ ডলার এলো অগাস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে অস্বস্তি রয়ে গেছে স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে গেল অর্থমন্ত্রী: জলবায়ু পরিবর্তনে ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, মাত্র ২ বিলিয়ন পেলে যায় জান বাজি স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে, আবার বৃদ্ধি ফখরুল জানান, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে শঙ্কা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিএনপি বললো, ফ্যাসিস্ট শাসনে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার ক্ষমতায় আনবে তারেক রহমানের আশঙ্কা: সহজভাবে নেওয়া ভুলের সংকেত সবকিছু এখন পর্যন্ত ইতিবাচক: সাদিক কায়েম ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি
রূপসার পল্লীতে সরকারি রাস্তা দখল ও ইট তৈরির ব্যবসা প্রত্যাহার দাবি

রূপসার পল্লীতে সরকারি রাস্তা দখল ও ইট তৈরির ব্যবসা প্রত্যাহার দাবি

খুলনার আঠারোবেঁকী নদীর তীরে রূপসার নেহালপুর মিস্ত্রিপাড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি রাস্তা দীর্ঘ সময় ধরে দখল করছে মেঝুরির বেশ কয়েকটি ইটভাটা, যার ফলে এলাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মেসার্স এমএনএস ব্রিক্সস নামের একটি ইটভাটার মালিক এই রাস্তার অধিকাংশ অংশ কেটে নিজের ইটের পট (মাটি দিয়ে তৈরি ইটের ব্যবসা) তৈরির জন্য ব্যবহার করছে। এতে ঐতিহ্যবাহী এই রাস্তা দুঃখজনকভাবে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। এলাকাবাসীর দাবি, এইরাস্তার অবিলম্বে দখল মুক্ত করে সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য পুনর্স্থাপন করা জরুরি। বৃহত্তর জনস্বার্থে কাজ না হলেই কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুমকি দিয়েছেন ক্ষোভে প্রতিবাদকারীরা।

নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে রামনগর, কচুয়া এবং অন্যান্য গ্রাম থেকে নেহালপুর খেয়াঘাটে আসা যায়। সেই বছরের পর বছর ধরে সরকারি এই গুরুত্বপূর্ণ পথটি অবৈধ দখলে থাকায় সাধারণ মানুষ চলাচলে খুবই দুর্ভোগে পড়েছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এই পুরাতন রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে এমএনএস ব্রিক্সসের মালিকের স্বার্থে জবরদখল করা হয়েছে। মনোযোগ না দিলে ভবিষ্যতেও সমস্যা লাগামছাড়া থাকবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

অভিযুক্ত এমএনএস ব্রিক্সসের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, পাঁচ বছরের জন্য ইটভাটা পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে তাদের। তিনি বলেন, সরকারি রাস্তা দখলে রাখার বিষয়টি নতুন নয়, তবে সরকার চাইলে আবার রাস্তা মুক্ত করে দিতে পারবে। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যায়ে জানানো হয়েছে, এই রাস্তা জেলা পরিষদের বলে, এবং এটি বিভিন্ন গ্রামের মানুষের নিয়মিত চলাচলের জন্য ব্যবহৃত। ভাষ্যকাররা বলছেন, রাস্তার দখল ও অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য কোনো ধরনের নিয়মবহির্ভূত কাজ চালিয়ে যাওয়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা আক্তার রিক্তা বলেন, দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলেন, এই সরকারি রাস্তাটি অবিলম্বে উদ্ধার না হলে তাদের মানববন্ধন ও কঠোর আন্দোলন আসন্ন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd