বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় তারকা সালমান খান আজ (২৭ ডিসেম্বর) তার ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। এই বিশেষ দিনটির মধ্য দিয়ে তিনি পা রাখলেন ৬০ বছরে। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা রীতিনীতির মতো এবারও তিনি জন্মদিনটি উদযাপন করেছেন ব্যক্তিগতভাবে, ঘরোয়া পরিবেশে—পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনের কাছের কিছু মানুষের সঙ্গে, পানভেলের ফার্মহাউসের পরিবেশে।
প্রচুর জাঁকজমক বা বড় কোনো আয়োজনের পরিবর্তে এইবারের জন্মদিনটি উদযাপিত হচ্ছে একান্তে ও খুবই সহজভাবে। অতিথি তালিকা খুবই সীমিত রাখা হয়েছে, যেখানে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা, খুব কাছের বন্ধুরা এবং বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে কাজ করা কিছু নির্বাচিত নির্মাতারা। ঘনিষ্ঠসূত্রের খবর, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আনন্দ, স্মৃতিচারণা এবং আন্তরিক সময় কাটানো—একটি বড় অনুষ্ঠানের চেয়ে এটি ছিল আনন্দের এক খাঁটি মুহূর্ত।
জন্মদিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল একটি বিশেষ তৈরি ট্রিবিউট ভিডিও। এতে সালমানের তিন দশকের ক্যারিয়ারে তার সঙ্গে কাজ করা অনেক নির্মাতা এবং শিল্পী ব্যক্তিগত বার্তা দিয়েছেন। তারা শেয়ার করেছেন তাদের কাজের অভিজ্ঞতা, স্মরণীয় ঘটনা, গল্প এবং সালমানের অভিনয়জীবনের বিবর্তন। এই ভিডিওটি একদিকে তার দীর্ঘ পথচলা এবং ভারতীয় সিনেমায় তার অসাধারণ প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে।
ভক্তরা তাকে ‘ভাইজান’ বলে ডাকেন। এটা কেবলই একটি ডাকনাম নয়, বরং একটি সম্পর্কের প্রতীক। যেমন পরিবারে বড় ভাই দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসা বোঝায়, তেমনই সালমান খানের সঙ্গে যারা আছেন তারা জানান দেন তার দায়িত্ববোধ ও আন্তরিকতার ওপর। অনেক নতুন মুখ তার হাত ধরে বলিউডে জায়গা তৈরি করেছেন, আর এই ভাইজান নামে তিনি শুধু নায়ক নন, হয়ে উঠেছেন এক প্রজন্মের আদর্শ ও অভিভাবক সুলভ চরিত্র।
এবারের জন্মদিনটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সালমান খান বলিউডের ‘খান’ পরিবারের মধ্যে শেষ ব্যক্তি যিনি ৬০ বছর বয়সে পা রাখলেন। এর আগে এই বছরই ৬০ পূর্ণ করেছেন আমির খান ও শাহরুখ খান। এই মুহূর্তটি বোঝায় বলিউডে এক দীর্ঘতম অধ্যায়ের সমাপ্তি, যা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে আধিপত্য বিস্তার করে এসেছে। সেই সঙ্গে এটি প্রমাণ করে, বয়স বাড়লেও সালমানের প্রাসঙ্গিকতা ও জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে।
Leave a Reply