বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের ফেরার পর দেশের নির্বাচনের আর কোন অজুহাত বা সংশয় রইলো না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পরে আর কোনো পরিস্থিতি নিবৃত্ত করে নির্বাচন ঠেকানোর সুযোগ থাকবে না। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, তাদের জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর বিকল্প কোনোভাবেই নেই।
শনিবার বিকেলে শৈলকুপা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে তার প্রথম অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশের শাসন কাঠামোকে সুদৃঢ় করা। এর পাশাপাশি শিক্ষা, নারীর অধিকার, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে তার মূল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশের মানুষ যেন তার পছন্দমতো ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা তাঁর অন্যতম অঙ্গীকার।
সাবেক এই কূটনীতিবিদ আরও বলেন, “আপনাদের জানা আছে যে, আমি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনের রায় রিভিউ করে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সংগ্রাম করেছি, এবং এই সংগ্রামে আমি জয়ী হয়েছি। এখন থেকে প্রতি পাঁচ বছর পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যা আমরা আইনসম্মতভাবে বাস্তবায়ন করেছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিএনপি’র পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে। আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় তারা অবিরত সংগ্রাম করবে।
এর আগে, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মো. আসাদুজ্জামান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ঝিনাইদহ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জেলা সভাপতি এম.এ. মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা আব্দুল বারী মোল্লা, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আবু তালেব মিয়া প্রমুখ।
Leave a Reply