কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে কঠোর নজরদারি ও দ্রুত কার্যক্রমের মাধ্যমে বিজিবি ওই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। শুক্রবার দুপুর ১১টার দিকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি। এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতপুরের আশ্রয়ণ বিওপি-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুশইনের এ চেষ্টা করার জন্য অন্তত ৬ জন পুরুষ, ৪ নারী ও ৪ শিশু প্রস্তুত ছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন শেখ জাব্বার (৭২), তার ছেলে শেখ হাকিম (৪৩), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩২), শেখ বান্টি (৩০), শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০), শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৩৮), শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫), শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬২), শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০), আর শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছরের শেখ রুহিত।
বিজিবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা গোচরে আসার পর পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়। এ পরিস্থিতিতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মহিষকুন্ডি বিওপি-এর সুবেদার মোঃ আসাদুজ্জামান নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল ও বিএসএফের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমার নেতৃত্বে অন্য ৬ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সীমান্তের মূল পিলার ১৫৪/০৭ এস সংলগ্ন ভারতের চাইডোবা মাঠে এ বৈঠকটি বিকেল ১:৪০ থেকে ২:২০ পর্যন্ত চলে।
বৈঠকে বিজিবি বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিকদের পুশইনের ঘটনায় গভীর প্রতিবাদ জানায় এবং তাদের ফেরত পাঠানোর আবেদন জানায়। যদি তাদের স্বপ্রমাণিত হয়, তবে বিএসএফ তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরে নিয়ে যায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, সীমান্তে পুশইনের চেষ্টা করে থাকলে বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে বাধা দেয়। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply