রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা রোববার থেকেই শুরু হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে, ফলে শীতের প্রকোপ বেশ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, মধ্যরাত থেকে সকালের দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশা পড়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে উত্তুরে জেলাগুলি এবং নীরবপ্রবাহীয় অঞ্চলগুলোতে ঘন কুয়াশা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ষড়ঋতুচক্রের স্বাভাবিক পূর্বাভাস প্রকাশ করে জানিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও অবগাহন এলাকা থেকে গঠিত উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর পাশাপাশি, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে এবং সেই সঙ্গে এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে দেশের আবহাওয়া পরীক্ষিতভাবে শুষ্ক থাকলেও কুয়াশা এবং তাপমাত্রায় পরিবর্তনের আশঙ্কা ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রথম দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, সারাদেশে প্রাথমিকভাবে আংশিক মেঘলা আকাশে আবহাওয়া থাকতে পারে, তবে খুব বেশি বদল আসবে না। তবে মধ্যরাত্রি ও ভোরের প্রথম প্রহরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। এই সময়ে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রিতে নিম্নমুখী হতে পারে, যা সাধারণত শীতের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য দায়ী। দিনের তাপমাত্রাও অল্প কিছুটা কমতে পারে।
পরবর্তী দিনে অর্থাৎ শুক্রবার, সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় গভীর কুয়াশার দেখা দেবে, যেখানে মাঝারি থেকে অনেক ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, অন্যদিকে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার ও রবিবার (২৭-২৮ ডিসেম্বর) একই ধরণের আবহাওয়া থাকতে পারে। এই দুই দিনেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকায় শীতের তীব্রতা কমবে না। মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাও দেখা দিতে পারে। সেই সময়ে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে না।
চতুর্থ দিনে (২৮ ডিসেম্বর), একই রকম আবহাওয়ার সর্তকতা বজায় থাকলেও রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শেষ দিন, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর, আবারও সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে ভোরের সময় উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সেই সময় রাতের তাপমাত্রা আবারও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, অন্যদিকে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সবমিলিয়ে, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা বেশ নিচে চলে যেতে পারে, যা স্বাভাবিকের থেকে আরও বেশী শীত অনুভব করতে বাধ্য করবে।
Leave a Reply