বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যুব এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল, যার ফলে তারা ফাইনাল খেলার দৌড়ে ছিল অন্যতম স্পর্ধিত দল। তবে সেমিফাইনালে এসে সবকিছু পালটে গেল। বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া এই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা খুবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যর্থতা দেখায়, আর পাকিস্তানের দাপুটে পারফরম্যান্সের কারণে তারা বড় হার মানে। নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা পরে মাঠে নামে দুবাইয়ে, যেখানে ২৭ ওভারের কমব্যাক ম্যাচে বাংলাদেশের আর কিছুই করার ছিল না—মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে পাকিস্তানের সাবেক তারকা সুমি মিনহাসের ফিফটিতে ৬৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের দিকে এগিয়ে যায় পাকিস্তান।
১২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা ছিল কিছুটা দুর্বিষহ। প্রথম ওভারেই ওপেনার হামজা জোহর ইকবাল হোসেন ইমনের বলে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরে যান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সামির মিনহাস ও উসমান খান জুনিয়র ৮৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে বাংলাদেশের জন্য বিপদ তৈরি করে। উসমান (২৭) ফিরলেও, সামির মিনহাস দলের জয়সূচক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৫৭ বলে ৬৯ রান করেন।
প্রথমে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন শুরুতেই ধীরগতি দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ দ্রুত আউট হয়ে গেলে দল কিছুটা চাপে পড়ে। দলের জন্য এর পর বেশ কিছু বিপদ আসে, বিশেষ করে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকি বিপর্যয় সামাল দিতে চেষ্টা করেন। তবে ১৩তম ওভারে আব্দুল সুবহান দারুণ ত্রাস ছড়ান, যেখানে আজিজুল ও কালাম দ্রুত ফিরে যান। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক ফিরে যেতে থাকেন, দলের স্কোর ৭৩-এ ৬ উইকেট হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। শেষমেষ দলের লড়াই শেষ হয় ১২১ রানে, যেখানে শেষ উইকেট পতনের সময় ২৬.৩ ওভারে দাঁড়ায়।
বোলারদের মধ্যে আব্দুল সুবহান চার উইকেট শিকার করেন। অন্যদিকে, হুজাইফা আহসান ২ উইকেট লাভ করেন। এদিকে, দিন শেষে অন্য সেমিফাইনালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে লড়াই হবে। বাংলাদেশ এখন টানা তৃতীয় শিরোপা স্বপ্ন ভুলে গিয়ে ফিরে যাচ্ছে খালি হাতে, তবে তরুণ এই চিত্রে ভবিষ্যতের জন্য আশার আলোর আভাস রাখছেন তারা।
Leave a Reply