সারাদেশের মতোই বাগেরহাটে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের মূল অনুষ্ঠানে সকাল ৯টায় শহরের বধ্যভূমিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, জেলা আইনজীবি সমিতি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, যুব দল, মহিলা দল, ছাত্রদল ও বিভিন্ন স্কুল কলেজ। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহররক্ষা বাধ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে অনুষ্ঠিত হয় একটি আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগ বাগেরহাটের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ ফখরুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামানসহ আরও অনেকে। বক্তারা ভাষণে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য এক বেদনাদায়ক দিন। এ দিনই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পেরেছিল তারা পরাজিত হয়েছে। এই দিন তারা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবিদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পাক হানাদার বাহিনী শেষের নৌকা টেনে নিয়ে যায়। এই শহীদ বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ফলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আজকের এই স্মরণসভা আমাদের জন্য এক গৌরবময় অনুপ্রেরণা।
Leave a Reply