বাগেরহাটে জাপানপ্রবাসী খন্দকার রবিউল ইসলামের বাড়িতে ভোরের দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা তার বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সব সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলেন। এরপর ঝটপট করে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং সাড়ে তিন লাখ টাকা নগদ লুটে নেয়। খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
প্রবাসীর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা খন্দকার আবু জাফর বলেন, তখন তিনি, তার স্ত্রী এবং বড় ছেলে ও তার স্ত্রীরাও বাড়িতে ছিলেন। ভোর চারটার দিকে বাথরুমের দরজা দিয়ে বের হতে গিয়ে ডাকাতদের হাতে পড়ে যান। তারা অস্ত্র দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে হাত, পা এবং মুখ বেঁধে ফেলেন, পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও একইভাবে জিম্মি করেন। তারপর বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করে প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতেরা ছাদে উঠে গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেছিল।
বড় ছেলে ব্যবসায়ী খন্দকার মাইনুল ইসলাম জানান, তিনি আগে জাপানে থাকতেন। ডাকাতরা তার ঘরও তছনছ করেছে এবং তাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে। তারা আমাদের নিঃস্ব করে দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার আশংকা প্রকাশ করে বলে তিনি জানান।
খন্দকার আবু জাফরের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, ডাকাতরা তার কক্ষে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং মুখ গামছা দিয়ে ঢেকে রেখে লুটপাট করে। এর মধ্যে এক দল ৬জনসহ এক মেয়ে ছিল। তারা বারবার বলছিল, কোনো ক্ষতি করব না, যা আছে দিয়ে দাও। তবে বেশি বাড়াবাড়ি হলে হত্যা করা হবে বলেও তারা হুমকি দেয়।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুম খান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে একাধিক টিম কাজ করছে। এর আগে, ৯ ডিসেম্বর দিনদুপুরে বাগেরহাট শহরের ডাউনীস্থ পুলিশ সুপারের বাংলোর পাশে একটি বাড়িতে চুরি হয়।
Leave a Reply