সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শাকিবের ‘পাইলট’ লুকে নেট মাধ্যমে শোরগোল শুটিং শেষে চেনা যাচ্ছে না সালমান খান, দর্শকদের বিস্ময় ইডেনের ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ছয় মাস পরে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনয়ন হলিউড নির্মাতা রব রেইনারসহ স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার অভিনব পোশাকে জয়া আহসানের চমকপ্রদ উপস্থিতি মেসির জন্য ক্ষমা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাশিয়া কাপের মিশন শুরুতেই রেকর্ডের পর রেকর্ড করে দুর্দান্ত জয়ে বাংলাদেশ হায়দরাবাদে মেসির জন্য বিশেষ আলাদা মুহূর্ত রূপসা অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত মেসিকে ভারতে আনার প্রহসন: শতদ্রু দত্ত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে
তিন মাসে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৭৩৪ জন বেড়েছে

তিন মাসে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৭৩৪ জন বেড়েছে

দেশের ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের তুলনায় জুনে এই সংখ্যা বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও ৭৩৪টি বাড়তে সক্ষম হয়েছে। তবে একই সময়ে ব্যাংকগুলোর জমা টাকার পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। আর সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টিতে। অর্থাৎ, এই তিন মাসে নতুন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা যুক্ত হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি। এ সময় ব্যাংকের জমা মোট টাকার পরিমাণও সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জুন শেষে আমানতের মোট পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষের দিকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়। ফলে, এই তিন মাসে মোট আমানত বেড়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। তদন্তে দেখা যায়, মোট কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা জুন শেষে ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি। আর সেপ্টেম্বরের শেষে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। অর্থাৎ, তিন মাসে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৩৪টি। এর আগে মার্চের শেষে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি। কোটিপতি হিসাবগুলোতে জমা ছিল ৮৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা, কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষে এই জমার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮১৪ হাজার ৫৬২ কোটি টাকায়। এতে দেখা যায়, তিন মাসে মোট ৫৯ হাজার ২২০ কোটি টাকার মতন জমা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটিপতি হিসাব বলতে বোর্ডে থাকা ব্যক্তিরা নয়, বরং অনেক বেসরকারি, সরকারি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও কোটি টাকার বেশি আমানত রাখে। এছাড়া এক ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫জন। এরপর ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি, এবং ২০০৮ সালে তা পৌঁচেছ ১৯ হাজার ১৬৩টিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরও বেশি বাড়ছে। ২০২০ সালে কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি, ২০২১ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬টি, ২০২২ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি, ২০২৩ সালে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টি এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd