বাংলাদেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষ যখন একুশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করছে, সেই সময় আবারও দেশের অন্ধকার পাশ ফিরে আসার চেষ্টায় শত্রুরা হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। তিনি এ কথা বলেছেন রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে।
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, একজন হিসেবে তিনি গভীরভাবে আশঙ্কা করছেন যে, ভবিষ্যতে আরও অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে, যা দেশের জন্য এক ভয়ঙ্কর আভাস। এ দিন তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা তাদের দোসরদের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকসহ বহু দেশপ্রেমিককে টুলে নিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা করেছিল, যাতে দেশের মেধাহীন ও অন্ধকারে নিমজ্জিত করে ফেলা যায়।
মির্জা ফখরুল এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এ ধরনের নির্মম কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে মেধা এবং স্বাধীনচেতা অন্যায়ের মুখে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য,非常 গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিনটি জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্বপ্ন ও সাহসের কথা, যেখানে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেতনা লুকিয়ে আছে।
বিএনপির মহাসচিব জানান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে খুবই অসুস্থ। তার পক্ষ থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তারা এর মাধ্যমে শপথ নিয়েছেন যে, যে কোন মূল্যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেন এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবেন। এ দিন তারা জাতীয় ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে দেশের মুক্তি সংগ্রামের চেতনাকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply