সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন বিএসএফের গুলিতে একদিনে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত শনিবার আসবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ঢাকায় পৌঁছেছেন জুবাইদা রহমান, সরাসরি এভারকেয়ারে যাচ্ছেন জুবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন আবার ৮ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ জনপ্রিয় টিকটকার ববি গ্রেভসের হৃদরোগে মৃত্যু ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর প্রথমবার মুখ খুললেন হেমা মালিনী নায়িকা পপি’র বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠালো আত্মীয়স্বজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেনস সুমন আর নেই শাকিবের ‘পাইলট’ লুকে নতুন চমক সোশ্যাল মিডিয়ায়
আবার ৮ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ

আবার ৮ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ

ভূমিকম্পের আতঙ্ক এখন পুরো বাংলাদেশে। গত ২১ নভেম্বর ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে নাটকীয়ভাবে উত্তরোত্তর আফটার শক অনুভূত হয়েছে। মহানগর ঢাকাসহ পুরো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রভাব পড়ছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬:১৫ মিনিটে দেশ জুড়ে ৪.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়, পাশাপাশি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে ৬.০ মাত্রার এক শক্তিশালী কম্পন দেখা যায়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে ঘটমান ভূমিকম্পের প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে বলে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা ও তার আশপাশে বেশ কয়েকটি ভূকম্পন ঘটছে, যার কিছু নরসিংদীর মাধবদী থেকে সূত্রপাত হলেও পরবর্তীতে ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর ওপরও বেশ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৭৬টি ভূমিকম্প ঘটেছে। আন্তর্জাতিক মহল এই সময়ের ভূমিকম্পের ঘটনাকে ইন্ট্রাপ্লেট ইভেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করছে।

প্রাক্তন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেছেন, ভূপৃষ্ঠের মূল শকের প্রভাব রিখটার স্কেলে ৭.৮ বা তার বেশি হতে পারে, এরপর আসবে আফটার শক। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

জিপিএস পরিমাপ বলছে, দেশের ফল্ট এলাকাগুলো প্রতি বছর কিছু মিলিমিটার সরছে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জের দৌকি ফল্ট, ঢাকা ও টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্ট এবং চট্টগ্রাম-মিয়ানমার উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকি বেশি।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, পর্যবেক্ষণ যথাযথ না হলে বা জনসচেতনতা তৈরি না হলে, বড় ধরনের ভূমিকম্প থেকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহন, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

গত ২১ নভেম্বর সকাল ১০:৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশের বেশ কিছু এলাকা। এর কেন্দ্র ছিল নরসিংদীর মাধবদী। এতে বেশ কিছু ভবনে ফাটল ধরতে দেখা যায় এবং কমপক্ষে ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এতে আহত হন তিন শতাধিকের বেশি মানুষ।

এর পরের দিন, ২২ নভেম্বর পলাশ ও মাধবদীতে ৩.৩ এবং ২৭ নভেম্বর পলাশের ঘোড়শালে ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখনই সিলেট ও কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দফা ভূকম্পনের ঘটনা ঘটে।

অবশেষে, ১ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১২:৫৫ মিনিটে ঢাকাসহ সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে নতুন করে ভূমিকম্প অনুভব করা হয়। সেই রাতে অনেকেই টের পান। এ ছাড়া, বঙ্গোপসাগরে নিয়মিত স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পের ঘটনাও অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd