গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুক্রবার চির proper ফজরের পর থেকেই আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে চারপাশের বিশিষ্ট তাবলীগ জামাতের বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের আয়োজনে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা। এই ইজতেমা সম্পন্ন হবে আগামী মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, প্রতি বছর এই জোড় ইজতেমা হয় প্রস্তুতি হিসেবে, যাতে তাবলীগের শুরা সদস্যরা বছরের কাজের পরিকল্পনা পেশ করেন এবং মুরুব্বিদের থেকে রাহবারী গ্রহণের সুযোগ পান। এই উপলক্ষে দেশের পাশাপাশি বিদেশের প্রবীণ মুরুব্বিরা ইতিমধ্যে টঙ্গীতে জড়ো হয়েছেন। হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমা তাবলীগ জামাতের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান, যেখানে দাওয়াতের মূল ভাবনা ও লক্ষ্য স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়। এখান থেকে পরবর্তী সময়ের কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ হয়। এ সময় দাঈদের, দাওয়াতের তরিকা, আমল ও দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট আলেমরা। এই বয়ানগুলি একজন শূরা সদস্যের জীবনাচরণ ও দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে দিশা দেয়। হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানিয়েছেন, জোড় ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য কেবল ৩ চিল্লার এবং কমপক্ষে ১ চিল্লার আলেমরা অংশ নিতে পারেন, যাতে ইজতেমার মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে। তিনি আরও বলেন, এক সময় এই পাঁচ দিনের জোড়ে মাওলানা সাঈদ আহমদ খান পালংপুরী (রহঃ), মিয়াজী মেহরাব, মাওলানা উমর পালংপুরী (রহঃ), মাওলানা ওবাইদুল্লাহ বালিয়াভী (রহঃ), কারী জহির (রহঃ) সহ বহু মনীষী বয়ান করতেন। এখনো প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের প্রবীণ আলেম ও হযরতজী মাওলানা ইউসুফ (রহঃ), হযরতজী মাওলানা এনামুল হাসান (রহঃ) এর সোহবতপ্রাপ্ত মুরুব্বিরা এসে বয়ান করেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই পাঁচ দিনব্যাপী জোড় থেকে দাঈরা সারা বছরের দাওয়াতি কাজের পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনা পাবেন।
Leave a Reply