দেশের ভবন নির্মাণের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছেন আন্তঃসরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ভবন নির্মাণের সময় নিরাপদ নির্মাণ বিধি মানা হয় কি না, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি রাতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর খসড়া অনুমোদনের সময় তিনি এ নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্তের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদর্শীর প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে একটি স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ গঠন হয়, যা দেশের সমস্ত ভবন ও নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেবে। বর্তমানে রাজউক শুধুমাত্র নিজস্ব এলাকা গুলোতেই অনুমোদন দেয়। শফিকুল আলম আরও জানান, গ্রামাঞ্চলসহ সারাদেশে চার থেকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের সময় জাতীয় ভবন নির্মাণ কোড অনুসরণ হচ্ছে কি না, সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড ও অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে পুনর্বিকাশ, জমি পুনর্বিন্যাস, খেলার মাঠ, জলাশয় ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ সম্পর্কিত নানা বিধান যুক্ত হয়েছে। জমির মালিকের ৬০ শতাংশের সম্মতিক্রমে পুনর্বিকাশ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তও হালকা হয়েছে। সেই সঙ্গে, নির্মাণ, জলাশয় খনন, নিচু জমি ভরাট, প্রাকৃতিক জলপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি এবং খেলার মাঠ ও উদ্যানের পরিবর্তন সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ চালু করা হয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত নকশা ব্যতীত নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ বা বেআইনি নির্মাণের শাস্তি এবং রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্মচারীদের কোনও চুক্তি বা শেয়ারে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ভবন নির্মাণের মান ও নিরাপত্তা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply