সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি মামলার বিষয়ে মেহজাবীন মুখ খুললেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন শাওনের ‘রাজাকার’ আখ্যা দেওয়া হয় দলকে বুলডোজার নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিনেত্রী পায়েল সরকার বলেন, পরিচালকের যৌন সুবিধা দাবি করার ঝুঁকি সহজে এড়ানো যায়নি মিথিলাকে জিতলে পাবেন ব্যক্তিগত বিমান, তিন কোটি টাকা ও নিউইয়র্কের ফ্ল্যাট সেঞ্চুরি করে লিটন দাসের বিশেষ দিন দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি ও ব্যাটিং ইতিহাসে বাংলাদেশ শোয়েব আখতার আসছেন বিপিএলে নতুন ভূমিকায় ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে বিরল রেকর্ডে নাম লেখাল বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের শেষে ঢাকায় টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ
দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি ও ব্যাটিং ইতিহাসে বাংলাদেশ

দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি ও ব্যাটিং ইতিহাসে বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস ব্যক্তিগত ভাবে অসাধারণ রেকর্ড গড়েছেন এবং একই সঙ্গে এই দুই ব্যাটার তাদের জুটিতে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে গর্বিত করেছেন। দুজনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভরা এই ইনিংসে যথাক্রমে ১০৬ ও ১২৮ রান করেন তারা, যার ফলে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৪৭৬ রান। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের জন্য টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি দেখিয়েছেন স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে মুশফিকুর রহিম ধীরে ধীরে সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন। তিনি বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে এক ইনিংসের মধ্যে টেস্ট ম্যাচে ত্রিশতমবার শত রান مکمل করেন। তার ১০৬ রান করে ফিরে যাওয়ার পরে, লিটন দাসও তাঁর পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন, যা পুরো ১২৮ রানে থামেন। এর পাশাপাশি, মুমিনুল হক ৬৩ রান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৭ রান করেন।

বাংলাদেশ ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো সম্ভব হলো একটি ইনিংসের মধ্যে একই উইকেটে ১০০’র বেশি রান করে প্রেসিডেন্টের মতো দ্বিতীয় ও তৃতীয় জুটি গড়ার কীর্তি। এর আগে কেবল ভারত (১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে) এবং পাকিস্তান (২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে) এই রকম নজির স্থাপন করেছিল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের এই জুটিগুলি ছিল: মুশফিক-মুমিনুলের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৭, মুশফিক-লিটনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০৮ এবং লিটন-মিরাজের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৩ রান।

মুশফিক-লিটন এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সপ্তমবারের মতো একশ’র বেশি রান সমন্বিত জুটি গড়লেন। এই জুটি মূলত গড়ে ওঠে প্রথম দিনের খেলার সময়। দলীয় ১৮ রান যোগ হতে না হতেই, ম্যাথু হামপ্রিসের ক্যাচে ধরা পড়েন মুশফিক। তার ১০৬ রানের ইনিংসটি ২১৪ বলে সাজানো, যেখানে তিনি ৫টি চারের সাহায্যে মোট রান করেন। এই ইনিংস তাঁর বাংলাদেশের হয়ে (মুশফিক ও মুমিনুলের যৌথভাবে) মোট ১৩তম সেঞ্চুরি। এরপর লিটন-মিরাজের জুটি গড়ে ওঠে, তবে পার্টনারশিপটি বেশ লম্বা চলতে পারেনি। গ্যাভিন হোয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিরাজ।

লিটন রান তাড়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন, তবে হাম্প্রিসের বলে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। তিনি ১৯২ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৮ রান করেন। শেষদিকে, অপরাজিত থাকেন এবাদত হোসেন, ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করে। বাংলাদেশ শেষে অলআউট হয় ৪৭৬ রানে।

আইরিশ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন, তার পাশাপাশি ম্যাথু হাম্প্রিস ও গ্যাভিন হোয়ে ২টি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচের নিঃসন্দেহে অন্যতম বড় সময় হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জুটি-বাজির জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd