সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা উন্নত ও নিরপেক্ষ করতে আজকের রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান পুনরুজ্জীবিত হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টের চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মূলত, আপিল বিভাগ এই রায়ের মাধ্যমে ১৪ বছর আগে দেওয়া সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেছে। এই সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা আজকের রায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বাতিল হয়েছে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে এই বিধানাবলি কার্যকর হবে শুধুমাত্র তার প্রযোজ্যতা ও পরিস্থিতির ভিত্তিতে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যে রায় দেন, তা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিয়েছিল। এর কারণে তিনটি নির্বাচনই বিতর্কিত হয়ে পড়ে। আজকের রায়ের মাধ্যমে আমাদের আশা, এই দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচন ব্যবস্থা উন্নত ও নির্দোষ হবে।”
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের সংগ্রামের পর আদালত রিভিউ আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পর থেকে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি চালিয়ে গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সেটি ছিল অসাংবিধানিক রায়, যা তার আপত্তির অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়াও, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আজকের রায়ে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে, খায়রুল হকের নেতৃত্বে দেওয়া পূর্বের রায়টি বাতিল হয়ে গেছে। এর ফলে, সংবিধানে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলো। তিনি মনে করেন, আজকের রায় ঐতিহাসিক ঘটনা, বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে।
শরীফ ভূঁইয়া বলেন, “অত্যন্ত নিম্নমানের এই রায়টি ছিল বাংলাদেশের দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের সূচনা, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল। আজকের সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক নতুন পালা শুরু করেছে।”
Leave a Reply