বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ (বিআরও ২০২৫) অনুযায়ী পাঁচটি সমস্যাাপন্ন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন। বাংলাদেশের ব্যাংক প্রসেসে একীভূতকরণ বা রেজল্যুশন প্রক্রিয়া চলাকালে যদি কোনো ব্যাংক শেষ পর্যন্ত লিকুইডেশনের (পরিসমাপ্তি) আওতায় আসে এবং এর ফলে শেয়ারহোল্ডাররা রেজল্যুশনের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাবেন, তবে এটি নির্ধারণের জন্য পৃথক একটি মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া হবে। সেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় রেজল্যুশন প্রক্রিয়া শেষে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া, সরকার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশেষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে। ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ আন্তর্জাতিক মানের অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা like IMF, World Bank এবং OECD-এর পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে রেজল্যুশনের আওতায় থাকা ব্যাংকের দাবিদার, যেমন আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারিত। বিশ্বস্ত আর্থিক বিশ্লেষণ সংস্থা ‘ইকুয়েটর’ এর বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, বর্তমানে রেজল্যুশন প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষতির মুখে, তাদের নিট সম্পদমূল্য (নিট অ্যাসেট ভ্যালু বা ভিএভি) ঋণাত্মক। এই পরিস্থিতি বিবেচনায়, ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (বিসিএমসি) গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই পাঁচটি ব্যাংকের সমস্যাগ্রস্ত শেয়ারহোল্ডাররা রেজল্যুশনের মাধ্যমে ব্যাংকের ক্ষতির ভার বহন করবেন। নির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন অংশীদার যেমন শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি, অতিরিক্ত টিয়ার ১ এবং টিয়ার ২ মূলধনধারীর ওপর ক্ষতি আরোপ করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, এই পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট আইনি বিধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করা এখনো সম্ভব নয়। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে।
Leave a Reply