দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামে ভয়াবহ নদী ভাঙনের কারণে আতঙ্কে জীবন যাপন করছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এ নদী বাঁধটি দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জনমত গড়ে উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি এ বাঁধ সংস্কার করা না হলো, তবে এটি এক মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে, যার ফলে পানখালী ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া পাউবো’র ৩১ নম্বর পোল্ডারের বিভিন্ন এলাকার নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নদী ভাঙনের আশংকা বেড়েছে। মৌখালী, পানখালী, লঙ্খোলা, খাটাইল, কাটাবুনিয়া, হোগলা বুনিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। একই সময় ভদ্রা, আন্ধার মানিক, পশুর, ঢাকী, শিবসা নদীর পানি শুধু বৃদ্ধি পেয়ে পরিস্থিতি আরো সংকটগ্রস্ত করে তুলছে। এ সকল নদী ভাঙন দ্রুততর না হলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকে রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কিছু দিন আগেই মৌখালী গাজী বাড়ির সামনে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেবার কারণে এখন বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পানিবেষ্টিত এ বাঁধের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। জনসাধারণের মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্য দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে এসেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর কথায়, পাউবো কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মধুসুদন পাল জানান, সরেজমিন পর্যবেক্ষণ শেষে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। আশেপাশের অন্যান্য নদীর ভাঙন রোধে কার্যক্রম চালানোর জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply