ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিসীমানার মধ্যে দিয়ে পর্যাপ্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ। ফলে, তৃতীয় ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য মর্যাদার লড়াই। কিন্তু এই ম্যাচেও পাকিস্তান দল ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় বিভাগেই তারা যথেষ্ট লড়াই করতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে ৫ উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজটি জিতে নেয় ক্যারিবীয় দল। চট্টগ্রামের মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবাইকে হতাশ করে বাংলাদেশ, ১৫১ রানের সংগ্রহ গড়ে লাল-সবুজের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয়রা অসাধারণ ব্যাটিং করেন, রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্তের ঝোড়ো আউটিংয়ে ১৯ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে। অনুতাপের বিষয়, বাংলাদেশের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে শুরুতেই উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। প্রথম উইকেটে আলিক আথানেজ কট বিহাইন্ড হলে ৬ রানে আউট হন। এরপর ব্র্যান্ডন কিং ৩৭ রানে আউট হন, আর আমির জাঙ্গুও ২৩ রান করে ফিরে যান। তবে দ্রুতই ম্যাচের নাচের গতি বদলে দেন চেজ ও অগাস্তে। তারা ক্রমশ ৪৬ বলে ৯১ রান যোগ করেন, দুজনই ফিফটি পান। চেজ ৫০ রান করে ২৯ বলের ইনিংসে পৌঁছান, অগাস্তেও ৫০ করে যান। এই জুটি ভাঙলেও ক্যারিবীয়রা ১৯ বল হাতে রেখেই বড় জয়ে সিরিজটি নিজেদের করে নেয়। এই প্রথম নয়, এর আগে ব্যাটিংয়ে বারংবার ব্যর্থ হন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। বিশেষ করে শেষ ৫ ওভারে কেবল ৪২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় তারা। উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। দলের মূল শক্তি হিসেবে এগিয়ে ছিলেন তানজিদ, যিনি দুটি জীবন পেয়ে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ৯ চার ও ৪ ছক্কায় এই দুর্দান্ত ইনিংস। অন্যদিকে, দলের বাকি ব্যাটাররা যথেষ্ট সুবিধা করতে পারেননি। শুরুতে জেসন হোল্ডার ও শরিফুল ইসলামকে দ্রুত ফেরানো, পরে তানজিদ ও সাইফ হাসানের জুটি মূলত দলে স্বস্তি আনে। তবে শেষ টা ছিল শেফার্ডের দুর্দান্ত বোলিং, যিনি তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের হালটাই টেনে নেন। এর ফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ শারীরিক ও মানসিকভাবে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় এবং সিরিজ জয়ের জন্য প্রস্তুত হয়।
Leave a Reply