নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক মাদরাসা ছাত্রকে তার ঘুমের মধ্যে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত ছাত্রকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুতই আটক করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ জীবনে এই নৃশংস ঘটনা এলাকায় স্তব্ধতা সৃষ্টি করেছে।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এ হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপরাধের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়, এই ঘটনা রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় ঘটেছে।
নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩), সে উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে, আটক ব্যক্তির নাম আবু ছায়েদ (১৬), তিনি ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের মতে, নাজিম ও ছায়েদ একই মাদরাসার আবাসিক বিভাগের ছাত্র। তারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেন, নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা। কিছুদিন আগে, টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়। মাদরাসার একজন শিক্ষক বিষয়টি মিটমাট করে দিলেও, এই ঝগড়ার জের ধরে আরেকটি অঘটন ঘটে।
গত ১০-১৫ দিন আগে, ক্ষিপ্ত হয়ে ছায়েদ সোনাইমুড়ীর বাজার থেকে ৩শ টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে রাখে। রোববার রাতে, অন্য ছাত্ররা ঘুমালে, সে মনোযোগ না দিয়ে ঘুম থেকে উঠে নাজিমের গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় গ্রামের অন্য ছাত্র ও শিক্ষকরা ঘুম থেকে জেগে এ ঘটনাটি দেখতে পান।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ভোরের দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অভিযুক্ত ছেলেটিকে হেফাজত করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি টুপি পরে থাকা বিষয় নিয়ে ছোটখাটো বিরোধের ফল হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে, যেখানে আইনি প্রক্রিয়া চলবে। এই ভয়ংকর ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, শান্তিপূর্ণ জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে।
Leave a Reply