খুলনা ফাইটার কারাতে ক্লাবের অর্জন বছর ঘুরে বছর আরও বিস্ময়কর হয়ে উঠছে। প্রতিষ্ঠানটি তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বছরই এখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও টুর্নামেন্টে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জিত হচ্ছে, যা এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
তাজা উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিযোগিতা ‘ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল ওপেন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’। ওই প্রতিযোগিতায় খুলনা ফাইটার কারাতে ক্লাবের খেলোয়াড়রা বিশাল সাফল্য লাভ করে। তারা মোট ৮টি স্বর্ণ, ১৭টি রৌপ্য এবং ২৩টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। এই প্রতিযোগিতা যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা হলেন – সিয়াম, সামিন, সাজিম, ফারহান, রাফি, মাতিন, রিমি ও তানিয়া। এর পাশাপাশি, রৌপ্য পদকপ্রাপ্তরা হলেন – ওয়ালিদ, আহনাফ, শেখর, জিতু, মুগ্ধ, নাজিফা, মারজিয়া, এঞ্জেল, ফারিয়া, জেনান, ইরা, সুফী, জারা, অথৈ, মাতিন আহসান, রেজোয়ান ও তাবাছ্ছুম। ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ীরা হচ্ছেন – তাসফিয়া তাহিয়া, রোজা, মারসা, মাহি, সৌরভ, অঙ্কুশ, জিতু, অরিন, রাহিল, মেহরাজ, অওরা, মরিয়ম, ফারজুন, ইসরাত জাহান, রারোই, জ্যোতির্ময়ী, ফিরোজা, রইফু, জয়, মেহেদী হাসান, তাসনিম বিনতে শরিফ ও জাহিদ হাসান।
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন ধরে এই কারাতে প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, যিনি মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে অবদান রেখে আসছেন। তাঁর প্রশিক্ষণে ধীরে ধীরে এই ক্লাবের পারফরমেন্স উন্নতি হচ্ছ এবং নতুন নতুন স্বর্ণ পদক জেতা খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সোতোকান কারাতে এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য কোচ সিহান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘৮০’র দশক থেকে খুলনায় কারাতে প্রশিক্ষণের সূচনা হয়। তখন থেকেই এগিয়ে আসার পথ চালিত হয়ে আসছে। তবে কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেন, কারণ রেফারির মান ভালো না থাকার কারণে কিছু সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। যথাযথ রেফারিং থাকলে আরও বেশি পদক অর্জিত হতে পারত। তিনি আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই খাতে আরও উন্নতি হবে এবং আমাদের খেলোয়াড়রা আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে।’
এসব সফলতা কল্যাণে, খুলনা জেলা ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো নতুন প্রেরণা পায়, যাতে করে ভবিষ্যতেও আরও অনুপ্রেরণামূলক কর্মসূচী ও পর্যায়ক্রমে অর্জন লক্ষ্য করা যায়।
Leave a Reply