সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি ব্যাপক খবর হলো, ভারতের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এই খবরের ফলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে একথা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক বার্তা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ধরনের খবরের ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এবং জনগণকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে, জাল টাকা তৈরি, বহন এবং লেনদেনে কোনো ধরনের অপরাধের শামিল হলে এটি দেশের আইনে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই জাল টাকার প্রচলন রোধে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা জাল নোটের উৎস, এর বহন ও ব্যবহার বন্ধে সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানানো হয়।
জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো চারটি মূল পরামর্শ দিয়েছে। প্রথমত, নোট গ্রহণের সময় এর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যেমন জলছাপ, অসমতল ছাপা, নিরাপত্তা সূতা, রঙ পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত। দ্বিতীয়ত, বড় অঙ্কের লেনদেনে অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে। তৃতীয়ত, নগদ লেনদেনের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। এবং চতুর্থত, সন্দেহজনক কোনো নোট পেলে তাৎক্ষণিকভাবে পাশের থানায় বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক ‘আসল নোট চিনুন, নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করুন’ এই আহ্বান জানিয়ে বলেছে যে, আসল নোটের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য www.bb.org.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করা যাবে। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় আসল নোটের শনাক্তকরণের জন্য এক্স-ব্যানার ও পোস্টারও প্রদর্শিত রয়েছে।
সম্প্রতি কাতারভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিক তার ফেসবুক আইডিতে এই ধরনের একটি পোস্ট দেন। সেটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত গতিতে বিষয়টির ওপর নজরদারি শুরু করে দেয়। তারা জাল টাকা ও জালিয়াতির অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান।
Leave a Reply