সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ ছাত্রের বিক্ষোভ এবং সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড ২০২৫ সালে হজে নিবন্ধন শেষ হয়েছে ৪৩,৩৭৪ জনের প্রতিটি চার নারীর মধ্যে তিনজনই সহিংসতার শিকার: স্বাস্থ্য ও সামাজিক জরিপ ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত শীতের আগমনী বার্তা: আবহাওয়া অফিসের শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মির্জা ফখরুল বলছেন, এ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে না সচেতনতা ও টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: নূরজাহান বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আমার ছেলে-মেয়েরা দেশে, আমি কি ভাবে নিরাপদ থাকব? প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন
শেষ মুহূর্তের গোলে স্তব্ধ বাংলাদেশ, হংকংয়ের নাটকীয় জয়

শেষ মুহূর্তের গোলে স্তব্ধ বাংলাদেশ, হংকংয়ের নাটকীয় জয়

বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল খুবই নাটকীয় এবং হতাশার। শক্তির দিক থেকে হংকংয়ের চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে থাকা দলটির কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হার মানলো বাংলাদেশ। দীর্ঘ সময় ৩-১ গোলের পিছিয়ে থাকার পর ৮৪ মিনিটের দিকে স্ট্রাইকার শেখ মোরসালিনের গোলের মাধ্যমে বাংলাদেশের চেহারা বদলে যায় এবং তারা সমতা আনতে সমর্থ হয়। তবে শেষ মুহূর্তে হংকংয়ের রাফায়েল মার্কিসের হ্যাটট্রিকের জন্য সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নেন। ফলে বাংলাদেশ হারার ব্যবধান বজায় রইল ৪-৩ সালি।

ম্যাচের শেষ অংশ ছিল একের পর এক নাটকীয়তা বিধায়। ইনজুরি সময়ে সামিত সোমের গোলে বাংলাদেশ ৩-৩ সমতা ফিরিয়ে আনে। পুরো স্টেডিয়াম তখন উৎসবে ভরে ওঠে। কিন্তু এই আনন্দ বেশ দুর্বাসহ ছিল না। হংকংয়ের রাফায়েল মার্কিসের জোড়া গোলে দেশের গ্যালারী স্তব্ধ হয়ে যায়। তখন এই জয়ের জন্য হংকং দেশটি ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজানোর মুহূর্তে কুয়েতির রেফারি সওদ আলসামহান ম্যাচ শেষ ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হতাশ হন। জার্সি টেনে মুখের কাছে রাখেন, কেউ বা দাঁড়িয়ে থাকায় মনোবল হারান। হোম ম্যাচে একবার লিড নিয়ে সমতাও ফিরে পেলেও শেষ পর্যন্ত হারই বরণ করে নিতে হয়। এই হারে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের স্বপ্ন বহু দূরে ঠেকে গেল। তিন ম্যাচ শেষে হংকং সাত পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে, যেখানে বাংলাদেশ এক পয়েন্টে টেবিলের তলানিতে। বাকি তিন ম্যাচে ইতিমধ্যে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখের সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের প্রথম গোলটি আসে হামজা চৌধুরির থেকে। তিনি ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে এই ম্যাচে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধে এই লিড বজায় রাখতে পারলে, বাংলাদেশ সহজেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু ইনজুরি সময়ে হংকং একটি কর্নার থেকে জটলা সৃষ্টি করে গোল করে ফেরে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে হংকং দ্রুত দুটো গোল করে স্কোরলাইনে এগিয়ে যায়, যার একটি বাংলাদেশের ডিফেন্সের ভুলে হয়।

এরপর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের ভুলই কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তারা প্রথমে ৩-১ তে এগিয়ে যায়। তখন বাংলাদেশ জেগে উঠে। বিকল্পদের মধ্যে সামিত সোম, জামাল ভূঁইয়া, জায়ান আহমেদ ও ফাহমিদুল নামের খেলোয়াড়রা মাঠে নামেন এবং মনোবলের পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। ৮৪ মিনিটে শেখ মোরসালিন গোল করে পরিস্থিতি বদলে দেন। তিনি বল পেয়ে সহজে গোল করেন, যদিও হংকং গোলরক্ষক কাউন্টার করতে পারেননি।

ইনজুরি সময়ে ধারাভাষ্যকাররা ৯ মিনিট যোগ করেন। সেই সময়ে আরও একবার কর্নার থেকে বাংলাদেশ গোল করে, যার জন্য কানা প্রবাসী সামিত সোম এগিয়ে যান ও হেডে বল জালে পাঠান। বাংলাদেশের দর্শকরা আনন্দে ভাসে। কিন্তু সেই দারুণ সাফল্যের এক মিনিটের মাথায় আবার ভুলে হংকং গোল করে, যা ম্যাচের ফলাফল স্থির করে দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd