সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ ছাত্রের বিক্ষোভ এবং সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড ২০২৫ সালে হজে নিবন্ধন শেষ হয়েছে ৪৩,৩৭৪ জনের প্রতিটি চার নারীর মধ্যে তিনজনই সহিংসতার শিকার: স্বাস্থ্য ও সামাজিক জরিপ ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত শীতের আগমনী বার্তা: আবহাওয়া অফিসের শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মির্জা ফখরুল বলছেন, এ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে না সচেতনতা ও টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: নূরজাহান বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আমার ছেলে-মেয়েরা দেশে, আমি কি ভাবে নিরাপদ থাকব? প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন
আর্থিক স্বার্থে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন বন্ধের আহ্বান আইসিসির কাছে আথারটনের

আর্থিক স্বার্থে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন বন্ধের আহ্বান আইসিসির কাছে আথারটনের

বিগত কয়েক বছর ধরে আইসিসি ইভেন্ট বা এশিয়া কাপে উপস্থিত থাকাকালীন একটি প্রশ্ন বিদ্যমান—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কি না, এবং যদি হয় তাহলে কোথায় এবং কিভাবে। এই বিষয়টি সব সময়ই আলোচনা, সমালোচনা এবং বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে এসেছে। বিশেষ করে এই দুই দেশের ক্রিকেটাররা ম্যাচের সময় একে অপরের সঙ্গে করমর্দন না করায়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ছায়ায় ক্রিকেট মাঠও প্রভাবিত হয়ে উঠেছে। এটা নিয়েও অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে যে, এই পরিস্থিতি ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য ক্ষুণ্ণ করছে।

প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল অ্যাথারটন এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি আইসিসিকে আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা আর ইচ্ছাকৃতভাবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন না করে। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক এশিয়া কাপের ঘটনা প্রমাণ করে যে ক্রিকেট এখন রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

অ্যাথারটনের বক্তব্য, টুর্নামেন্টের ফিক্সচার অর্থের জন্য সাজানো বন্ধ হওয়া উচিত। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ খেলায় প্রথমেই দেখা যায়, মোদ্দা বিষয় হলো, মাঠের বাইরেও রাজনৈতিক আবেগের লেপে মোড়ানো হচ্ছে এই ক্রিকেট মূলত আয় ও বাণিজ্যের জন্য। পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর কয়েক মাসের মধ্যে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়, যেখানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় দল পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন না করায়, খেলোয়াড়রা অঙ্গভঙ্গি ও উদযাপনে বিতর্ক সৃষ্টি করে।

অনেকের মতে, ফাইনালের পর সূর্যকুমার যাদবের মতো ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে ট্রফি নেয়ার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানিয়ে এই বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে দেন। পত্রিকায় লিখেছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একান্ত হয় তা অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ মূল্যবান। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আইসিসির প্রতিটি টুর্নামেন্টেই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে ম্যাচের বিরলতা এটিকে আরও বেশি আয়বহুল করে তুলেছে। এর ফলে, টুর্নামেন্টের ব্রডকাস্ট রাইটসের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে—২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার।

অ্যাথারটন মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের গুরুত্ব কমে যাওয়ার কারণে আইসিসির টুর্নামেন্টগুলো এখন মুখ্য অর্থনৈতিক উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই মুখ্য কাকতালীয় আকর্ষণ। তিনি বলেন, একসময় ক্রিকেট কূটনীতি হিসেবে কাজ করত, কিন্তু এখন তা প্রতিযোগিতা আর রাজনৈতিক প্রচারণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র অর্থের জন্য ম্যাচের ফিক্সচার সাজানো সম্পূর্ণভাবে অনুচিত। তিনি পরামর্শ দেন, পরবর্তী সম্প্রচার চুক্তির আগে আইসিসির উচিত সূচির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রতিবারই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে না।

অ্যাথারটন আরও বলেন, আসন্ন সম্প্রচার চুক্তির জন্য স্বচ্ছভাবে ড্র করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সিরিজে ভারত-পাকিস্তান দেখা না যায়, তাতে কিছু যায়-আসে না। এশিয়া কাপ ২০২৫-এ দুই দেশ একই গ্রুপে থাকায়, সেটি এমন পরিকল্পনা ছিল যেখানে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ রাখা হয়—যা বাস্তবে হয়ে গেছে। এই প্রবণতাকে তিনি ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করেন। তাঁর মতে, ক্রিকেটের মূল উদ্দেশ্য— খেলার আনন্দ এবং ক্রীড়ামূলক প্রতিযোগিতা— আবার ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd