সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ ছাত্রের বিক্ষোভ এবং সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড ২০২৫ সালে হজে নিবন্ধন শেষ হয়েছে ৪৩,৩৭৪ জনের প্রতিটি চার নারীর মধ্যে তিনজনই সহিংসতার শিকার: স্বাস্থ্য ও সামাজিক জরিপ ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত শীতের আগমনী বার্তা: আবহাওয়া অফিসের শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মির্জা ফখরুল বলছেন, এ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে না সচেতনতা ও টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: নূরজাহান বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আমার ছেলে-মেয়েরা দেশে, আমি কি ভাবে নিরাপদ থাকব? প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন
পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত আসার সম্ভাবনা রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত আসার সম্ভাবনা রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের বাইরে থেকে পাচার হওয়া অর্থের কিছু অংশ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে এখনো কত টাকা ফেরত আসবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকরা জানতে চান, কি পরিমাণ অর্থ ফেরত আনা সম্ভব, উত্তরে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যারা টাকা পাচার করে, তারা অত্যন্ত চালাক। কিভাবে এটা আনা যায়, সে বিষয়ে তারা নানা বুদ্ধি খুঁজে বের করে। টাকা ফেরত আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়, তবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা চলছে, আশাপ্রকাশ করেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু অর্থ ফিরে আসতে পারে। বাকি অর্থের জন্য সরকারি প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, এই ধরনের ফরমালিটির কোনো সরকার এড়াতে পারে না। আমি বলেছিলাম—টাকা দিয়ে দাও সেন্ট্রাল ব্যাংক বা সুইস ব্যাংকে—এমন দাবি করা হয়, তাহলে অবশ্যই দিতে হবে। কারণ, এ অর্থ লিগাল ওয়েতে যাওয়া জরুরি। ইতিমধ্যেই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ চলছে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে ১১-১২টি বিষয় বেশ হাইপ্রোফাইল মনে হচ্ছে, যেখানে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ২০০ কোটি টাকার বেশি জরিমানা বা অভিযোগ রয়েছে।

নতুন সরকার এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে বাধ্য, বলেন তিনি, কারণ কেবল তখনই টাকা ফেরত আনা সম্ভব। যদি সরকার এসব প্রক্রিয়া চালু রাখে, তবে দেশের অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যথায়, অর্থ ফেরত আনার কিছুই হবে না।

তিনি বলেন, এর জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সরাসরি অর্থ পাঠানোর বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতি এড়ানো জরুরি। বিদেশে থাকা অর্থের ব্যাপারে সাধারণত লাখ লাখ টাকা বা ডলার সরবরাহের জন্য কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

অর্থের পরিমাণ কত হবে, তা তিনি জানাতে অস্বীকৃতি জানান ও জানান, এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রশ্ন করতে।

এ সময় তিনি জানান, এখনও কিছু অর্থ পাচার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তিনি বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিস্তারিত রিপোর্ট আসার পরে তা বিশ্লেষণ করা হবে। ইতিমধ্যে দেশের বাইরে কিছু অ্যাসেট বা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। পাচারের অর্থের বিষয়ে তথ্য রয়েছে, কোন দেশে তার পাসপোর্ট বা অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেটিও দেখা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি, কিছু অভিযোগ উঠেছে যে উপদেষ্টা এলাকায় বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়, কারণ প্রজেক্টগুলো অনেক পুরোনো।

কর্তৃপক্ষ এক গবেষণায় জানিয়েছে, দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটিই খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কিছু খাদ্যঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু ও মায়েদের ক্ষেত্রে।

সরকার খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভিজিএফ ও স্পেশাল ট্রেকের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। জেলেদের জন্য কয়েক দিন থেকে মাছ ধরা বন্ধ, এবং তাদের জন্য ২০ কেজি করে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, আমাদের লক্ষ্য হল সুষম খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা, যেখানে ডিম ও অন্যান্য আমিষের যোগান বাড়ানো হবে, কারণ এগুলোর ক্রয় ক্ষমতা কিছুটা কম। এই সব উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি কমানোর কাজ চালিয়ে যাবে সরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd