সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন মির্জা ফখরুলের ভাষায়: স্বাধীনতার শত্রুরা আবারো মাথাচাড়া দিতে চায় আ.লীগ বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছিল ১৯৯৬ সালে: জামায়াতের আমিরের বিস্তৃত মন্তব্য নাহিদ ইসলাম: একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে 우리는 একাত্ম তারেক রহমান বললেন, ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের অনুরোধ: আসবেন না এয়ারপোর্টে বিদায় দিতে ইনুর বৈধতা চেয়ে টেলিভিশনে সরাসরি বিচার সম্প্রচারের আবেদন ইইউ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির আমন্ত্রণ, টিভি টক শোতে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি আন্দোলন চালিয়ে ভাতার দাবিতে অবরুদ্ধ করা অর্থ উপদেষ্টাকে, ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের আরও তিন হত্যা মামলায় জামিন স্বীকৃতি
রূপসা উপজেলায় একই নামে দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভ্রান্তিতে কর্তৃপক্ষ

রূপসা উপজেলায় একই নামে দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভ্রান্তিতে কর্তৃপক্ষ

খুলনার রূপসা উপজেলায় একই নামের দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে সৃষ্টি হয়েছে অপ্রীতিকর বিভ্রান্তি ও জটিলতা। ওই দুটি প্রতিষ্ঠান হলো ‘রূপসা কলেজ’ ও ‘রূপসা সরকারি কলেজ’। এই বিভ্রান্তি দূর করতে বৃহস্পতিবার সকালে রূপসা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ, যেখানে তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের উত্তর পাশে বাগমারা মৌজায় তিন দশমিক ৪৩ একর জমির উপর এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এলাকার ইতিহাসের স্বাক্ষী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই কলেজটি স্থানীয় জনগণের আন্তরিকতা, অকৃত্রিম ভালোবাসা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এলাকার অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। প্রায় চার দশক ধরে এটি অসংখ্য শিক্ষার্থীকে জ্ঞানচর্চার আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, রূপসা উপজেলার অপরপ্রান্তে ভৈরব নদীর তীরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’। তবে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনমূলক সিদ্ধান্তের কারণে এই কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘সরকারি বেলফুলিয়া কলেজ’ রাখা হয়। পরে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০২৫ সালের ২৮ মে এই কলেজের নাম আবার পরিবর্তন হয়ে ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ হয়। এই নামের পরিবর্তনের ফলে শিক্ষকদের ব্যাখ্যা ও শিক্ষার্থীদের বোঝার ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা ভুলে ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ বা ‘রূপসা কলেজ’ এর মধ্যে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই বছর প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ভুলক্রমে আবেদন করেছেন রূপসা সরকারি কলেজে, যেখানে আসল রূপসা কলেজের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া, উচ্চতর শ্রেণির পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য প্রতি বছরে যোগ্য শিক্ষার্থীর আবেদন সামান্যই বা হয়াচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয় নাম পরিবর্তনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন, যাতে বিভ্রান্তি দ্রুত দূর হয় এবং রূপসা কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবার সচল হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা, যারা এই বিভ্রান্তির অবসান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপের আর্জি জানান। Rপসা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র মন্ডল বলেন, একই উপজেলায় দুটি কলেজের নামের মিল থাকার কারণে অনলাইন ভর্তি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলোতে বেশ ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো জানান, আগে এই কলেজের নাম ‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’ ছিল, যা পরে ‘সরকারি বেলফুলিয়া কলেজ’ নামে পরিবর্তিত হয়, আর এরপর থেকে ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ নামকরণ করা হয়েছে। এ সমস্যা এই বিভাগের শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টির জন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধান কামনা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd