সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন প্রবীণ লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সংগীতশিল্পী দীপের মৃত্যু সংবাদ ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবির নায়িকা বনশ্রী আর নেই বলিউডের সোনু সুদের বিরুদ্ধে জুয়া-কাণ্ডে অভিযোগ, ইডির তলব অভিনয় ছেড়ে ধর্মের পথে তামিম মৃধার রিজিক নিয়ে মন্তব্য আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বজায় রাখলো বাংলাদেশ পাকিস্তানি কিংবদন্তি সূর্যকুমারকে ‘শূকর’ বললেন বাংলাদেশের সামনে সুপার ফোরে যেতে গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ অসহযোগিতা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের এশিয়া কাপে প্রত্যাবর্তন বিসিবি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
নির্বাচন অফিস ঘেরাও ৩য় দিন অব্যাহত, নেতাকর্মীরা তাবু টানিয়ে অবস্থান করছেন

নির্বাচন অফিস ঘেরাও ৩য় দিন অব্যাহত, নেতাকর্মীরা তাবু টানিয়ে অবস্থান করছেন

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ধরে রাখতে ও তাদের আওতায় আনতে গত তিনদিন ধরে জেলা নির্বাচন অফিসের ঘেরাও ও অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে একটি তাবু লাগিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হতে শুরু করে।

আসন্ন দুর্গাপূজার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা। তারা জানিয়েছেন, তাদের দাবি মানা না হলে এ আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরো কঠোর আন্দোলন করতে তারা প্রস্তুত। এই প্রতিবাদে তারা বলছেন, না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-অভিনেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, “আজ তৃতীয় দিন চলছে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও ও অবস্থান ধর্মঘট। আমরা ইতিমধ্যে আদালতে রিট দায়ের করেছি, আদালত প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের রুল জারি করেছে। আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।” তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে অসহযোগ আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

অপরদিকে, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন সংক্রান্ত ঘোষণা নিয়ে হাইকোর্ট এক রুল জারি করেছেন। এতে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন এই চারটি আসন বহাল থাকবে না এবং কেন এক আসন কমিয়ে তিনটি করা হবে না। একইসঙ্গে, কেন নির্বাচনী গেজেটে এই পরিবর্তন অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালত আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৩০ জুলাই দুপুরে নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চার আসনই থাকছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর থেকেই এলাকায় আন্দোলন শুরু হয়। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই চূড়ান্ত করে ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এতে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা ও দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাটের আসনগুলো হলো: বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)।

প্রাথমিক অবস্থা অনুযায়ী, আগে এই চারটি আসন ছিল: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল, মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)। দীর্ঘদিন ধরে এই চারটি আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd