বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান পাসপোর্ট ছাড়া জেদ্দায় একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছিলেন। জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাকে আটকের পর হোটেলে নিয়ে যান। পরে বিমান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সন্ধ্যার ফ্লাইটে তার পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। জানা গেছে, এই পাইলট পাসপোর্ট না থাকলেও তার হাতে ছিল অন্য কারো পাসপোর্ট, যার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্যাপ্টেনটির মা’য়ের পাসপোর্ট ভুল করে তিনি নিজের পরিবর্তে ব্যবহার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এর আগে আরও দুইবার একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা, যেখানে তাদের জন্য বিভিন্ন দেশে জ্যামিতি বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। তবে এই ঘটনার ফলে বিমানের জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক থাকা সময় জানা যায়, ক্যাপ্টেন মুনতাসিরের কাছে একটি পাসপোর্ট ছিল, তবে সেটি তার নিজের নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভ্রান্তিতে তড়িঘড়ি করে তিনি মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে এবং পরে বিমান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তাকে হোটেলে রাখা হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে কোন স্পষ্ট মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: সাফিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সফলতা মেলেনি। এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পাইলটরা পাসপোর্ট বা আইডি কার্ডের অনিয়মের কারণে জটিলতায় পড়েছেন। এরূপ ঘটনা আমাদের বিমানের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
Leave a Reply