ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের জুন মাসে আহত হওয়া তন্বি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি ১১,৭৭৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
গত বছর ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্র ছাত্রী সানজিদা আহমেদ তন্বি। অসুস্থতার কারণে কিছু দিন চিকিৎসাধীন থাকলেও তিনি আন্দোলনে অটুট থাকেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ফলে ছাত্রদল এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ অন্যান্য প্রাথমিক প্যানেলগুলো তার জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। নিজেকে সমর্থন দিয়ে মোট ছয়টি প্যানেল অংশ নেয়নি ওই পদে। এই ছয়টি প্যানেল হল- ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে উঠা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদের নেতৃত্বাধীন ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
এদিকে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) মোট ১৪,০৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫,০৬৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমার পেয়ে ৩,০৩৮৯ ভোট ও শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩,০৬৮১ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রশিবিরের সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ সর্বমোট ১০,৮৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫,২৮৩ ভোট। অপরাজেয় পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪,৯৪৯ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের সমর্থিত প্রার্থী মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ১১,৭৭২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫,০৬৪ ভোট।
বিশ্লেষণে জানা যায়, এবারের ডাকসুতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী ২৮টি পদের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন। একই সঙ্গে ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হল সংসদে মোট ২৩৪ পদের জন্য ১,০৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অর্থাত্ এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩৯,০৮৭ জন। এর মধ্যে ১৮,৯৫৯ জন ভোটার রয়েছে পাঁচটি ছাত্রী হলে এবং ২০,৯১৫ জন ভোটার ছাত্র হলে। এই নির্বাচনে মোট ভোটপ্রাপ্তি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন বিভিন্ন পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৬২ জন ব্যক্তি ছাত্রী প্রার্থী। বিভিন্ন হলে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৮টি হলে, যেখানে মোট পদ সংখ্যা ২৩৪। এসব পদে ভোটে অংশ নিয়েছেন মোট এক হাজার তিনজন প্রার্থী।
Leave a Reply