সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন মির্জা ফখরুলের ভাষায়: স্বাধীনতার শত্রুরা আবারো মাথাচাড়া দিতে চায় আ.লীগ বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছিল ১৯৯৬ সালে: জামায়াতের আমিরের বিস্তৃত মন্তব্য নাহিদ ইসলাম: একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে 우리는 একাত্ম তারেক রহমান বললেন, ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের অনুরোধ: আসবেন না এয়ারপোর্টে বিদায় দিতে ইনুর বৈধতা চেয়ে টেলিভিশনে সরাসরি বিচার সম্প্রচারের আবেদন ইইউ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির আমন্ত্রণ, টিভি টক শোতে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি আন্দোলন চালিয়ে ভাতার দাবিতে অবরুদ্ধ করা অর্থ উপদেষ্টাকে, ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের আরও তিন হত্যা মামলায় জামিন স্বীকৃতি
অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণে নতুন ব্যবস্থা গড়ে উঠছে: ইফতেখারুজ্জামান

অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণে নতুন ব্যবস্থা গড়ে উঠছে: ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অর্থপাচার অর্ধেক কমেনি, তবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন বেশি কার্যকরী হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হওয়ায় পাসের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ পাচারের সুযোগ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে আগের মতো ঢালাওভাবে ঋণ নিয়ে বিদেশে টাকা পাঠানোর পথ কঠোরভাবে বন্ধ হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ধানমন্ডির টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতেখারুজ্জামান আরও জানান, ব্যাংকিং সেক্টরের অধিকাংশ অপরাধী এখন বিভিন্নভাবে দেশের বাইরে কিংবা বিচারাধীন অবস্থায় আছেন। ফলে, এই ধরনের অপরাধের দিক থেকে ব্যাংকিং সেক্টর এখন অনেকটাই নিরাপদ হয়েছে। এর মধ্যে নতুন কিছু অপরাধী বা অপকর্মের জন্ম হয়নি বলেও তিনি আশ্বাস দেন; তবে পুরোপুরি পরিবর্তন আসেনি, কারণ এখনও কিছু বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে কর্মরত অভিবাসীদের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থপাচার হয়। সাধারণত, তারা দেশের বাইরে থেকে আয়ের টাকা সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলেও পাঠায়। কিন্তু অধিকাংশ সময় তা অপব্যবহার করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হয়। এখন সেটাও মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত হলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসানো যায়নি।

এছাড়া, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়। ইফতেখারুজ্জামান জানান, আমাদের দেশের অর্থপাচারের বেশির ভাগ অংশই বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত। তবে, পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় বাস্তব ব্যাপারে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয়নি। কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এবং সরকারের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কারণ, পাসের পর টাকা ফেরত আনা খুবই কঠিন ও জটিল কাজ। অর্থাৎ, টাকা যখন বিদেশে যায় তখন তা ফেরত আনার প্রক্রিয়া খুবই দীর্ঘমেয়াদি এবং জটিল। তাই, প্রতিরোধের জন্য আমাদের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা দেশের বাইরে টাকা পাচার করে থাকেন, তাদের যদি এই সুযোগ না থাকত তাহলে তারা লন্ডন, কানাডা বা দুবাইয়ে অর্থ লগ্নি করতে পারতো না। এই সুযোগগুলোর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে। সরকারপ্রয়োগিত আইনগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে, যাতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ সম্ভব হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd