সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন স্টেডিয়ামের অবস্থা দেখে চোখের জল ঝরল বিসিবি সভাপতি বাংলাদেশকে ৩ গোলে হারালো নেপাল নতুন আইনে ফেঁসে গেল ড্রিম ১১, স্পন্সর হারালো বিসিসিআই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ মীর মুগ্ধ আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলার পুনরায় চ্যাম্পিয়নত্ব ফিফা জানালো, ২০২৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে ক্লাব বিশ্বকাপ সৌদিতে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার চীনকে পর্যাপ্ত চুম্বক সরবরাহের কথা না মানলে ২০০ শতাংশ শুল্কের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের গাজায় একদিনে নিহত ৮৬, মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৬২ হাজার ৭০০ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০০ জনের বেশি, অন্যান্য সামগ্রিক পরিস্থিতি ভয়াবহ অতীতের শক্তিশালী ধাক্কা দিতে চলেছে কাজিকি ঘূর্ণিঝড়
জামায়াতের হুঁশিয়ারি: পিআর পদ্ধতি না মানলে কক্ষ দুটিতেই আন্দোলন

জামায়াতের হুঁশিয়ারি: পিআর পদ্ধতি না মানলে কক্ষ দুটিতেই আন্দোলন

নতুন বাংলাদেশ গঠনে সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদের খসড়া চূড়ান্ত করেছে এবং তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়েছে। তবে সংবিধানে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের ওপর বড় বড় রাজনৈতিক দলের মতভিন্নতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দেশের প্রধানদলের একজন হিসেবে জামায়াতে ইসলামি সম্প্রতি ভোটের ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালুর দাবি তুলেছেন। এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আগামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের দাবি, পিআর পদ্ধতি চালু হলে দেশের জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে এবং সেবার মাধ্যমে দুর্নীতি কমে আসবে। দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, পিআর ছাড়া সত্যিকার নির্বাচন হবে না। এজন্য দলটির সর্বশক্তি দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হবে। অন্যদিকে, দলের আরেক নেতা ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তারা মত প্রকাশ করেন, শুধু উচ্চকক্ষের পরিবর্তে নিম्नকক্ষণেও পিআর পদ্ধতি জরুরি, কারণ এতে সরকারের পরিচালনা আরও ভালো হবে।

জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন পূরণের জন্য নির্বাচনের আগে প্রয়োজন সংস্কার ও পরিবর্তন। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচনকে ইতিবাচক বলে মনে করেন। সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, এই সংস্কার ও পরিবর্তনের জন্য আইনী ভিত্তি তৈরি করতে হবে। এই ভিত্তির ওপরেই ভবিষ্যতের ভোট হবে। বাৎসরিক সংস্কার বা পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন হলে তা দেশের পরিস্থিতি আগের মতোই জাহিলিয়াতের দিকে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

অপরদিকে, জামায়াতের নেতারা মনে করেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না এবং এর মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। ফলে, তারা কঠোর হুঁশিয়ারি দেন, যদি বর্তমান ডাকা সংস্কার না মানা হয়, তাহলে কক্ষ দুটিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এই অবস্থায় তারা আশঙ্কা করছেন, পরিবেশ উত্তপ্ত ও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd