বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলমান আসরটি শুরু হয়েছে সিলেট পর্ব দিয়ে। এ সময় প্রচুর বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু এর মধ্যে অনেকেরই এখনই মনে হচ্ছে যে তারা সিলেট পর্ব শেষের আগেই বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে পারেন। বিশেষ করে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা, যারা আর কিছুদিনের মধ্যেই দেশের জন্য অন্য পরিস্থিতিতে যোগদান করবেন।
কারণ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তান দল পরিকল্পনা করছে তাঁর জন্য প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি। তারা জানুয়ারির প্রথম দিকেই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। যেখানে পাকিস্তান যাবে ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলা সিরিজের জন্য। এই সিরিজের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, যেখানে বর্তমানে বিপিএলে খেলছেন সাত পাকিস্তানি ক্রিকেটারও রয়েছেন। ফলে এর মানে, তারা ৭ জানুয়ারির আগে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিদায় নিতে পারেন।
বিপিএলের এই আসরে সত্যিকার অর্থে অংশ নেওয়া পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন যথাক্রমে: ফাহিম আশরাফ ও খাজা নাফে (রংপুর রাইডার্স), মোহাম্মদ নেওয়াজ (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স), মোহাম্মদ সালমান মির্জা (ঢাকা ক্যাপিটালস), শাহিবজাদা ফারহান (রাজশাহী ওয়ারিয়র্স), সাইম আইয়ুব ও উসমান খান (ঢাকা ক্যাপিটালস)। এছাড়া আরো বেশ কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিভিন্ন দলের স্কোয়াডে রয়েছেন, আনুমানিক ৮ থেকে ১০ জন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ডাক পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার খাজা নাফে, যদিও এ পর্যন্ত তিনি এই বিপিএলে মাঠে নামেননি। প্রথমবারের মতো রংপুরের জার্সিতে তিনি খেলতে পারেন ২৯ ডিসেম্বর। এর আগে তিনি ২৩ বছর বয়সীরূপে চট্টগ্রামের হয়ে খেলেছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি প্রায় ছয় মাস পর পাকিস্তান দলের স্কোয়াডে ফিরেছেন শাদাব খান, যিনি কাঁধের অস্ত্রোপচারের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। এখন তিনি বিগ ব্যাশে ফর্মে থাকছেন।
তবে, লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজে পাকিস্তানের স্কোয়াডে স্থান পায়নি সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ও পেসার হারিস রউফ। তারা এখনো বিশ্লেষণে রয়েছেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও সালমান মির্জার মতো পেস আক্রমণের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। এই সিরিজের পারফরম্যান্স দেখেই পাকিস্তান ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের স্কোয়াডে রয়েছেন: সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), আবদুল সামাদ, আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, খাজা নাফে (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ সালমান মির্জা, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, শাহিবজাদা ফারহান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, শাদাব খান, উসমান খান (উইকেটরক্ষক) ও উসমান তারিক।
Leave a Reply