ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের অংশ হিসেবে এবার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় পুলিশের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের আগে ও পরে মোট পাঁচ দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। সাধারণত চূড়ান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। এরমধ্যে নির্বাচন বা গণভোটের দিন ছাড়া আরও তিন দিন আগে ও এক দিন পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচনী অফিসের সুরক্ষা অনেকটাই কঠোর করা হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কার্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ বা নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত থাকবেন, যাতে গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচন সামগ্রী নিরাপদে রাখা যায় এবং অফিসগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত হয়। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অফিসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও জোরদার করার জন্য পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। ইসি সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনের সময়সূচি প্রকাশের পর থেকে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের অফিসগুলোয় গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী অফিসগুলোতেও আমাদের পুলিশ ফোর্সের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এর আগে, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন গাড়ি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হবে। নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রাক্কালে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, আপিলের শেষ সময় ১১ জানুয়ারি, নিষ্পত্তি ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২১ জানুয়ারি এবং নির্বাচনী প্রচার ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
Leave a Reply