সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট হলিউড নির্মাতা রব রেইনারের মরদেহ স্ত্রীসহ উদ্ধার মেসির সঙ্গে ছবি নিয়ে কটূক্তি: শুভশ্রীর জন্য থানায় অভিযোগ রাজের হাদিকে নিয়ে পোস্টের পর চমক-মামুনকে হত্যার হুমকি অভিনব পোশাকে জয়া আহসানের বিস্ময়কর প্রদর্শনী হায়দরাবাদে মেসির সংক্ষিপ্ত but দর্শকদের মনজয় মেসিকে ভারতে আনার মূল আসামি শতদ্রু দত্তের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজত রূপসায় অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ এশিয়া কাপ যুবদলে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয় আইপিএল ও পিএসএল আবারও একই দিনে শুরু হচ্ছে, দুটির সূচী সংঘর্ষস্থাপনা
এশিয়া কাপ যুবদলে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়

এশিয়া কাপ যুবদলে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়

অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বপ্নভ্রমণ শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। আফগানিস্তানকে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় জয় সংগ্রামের ধারা শুরু করে বাংলাদেশি যুব ক্রিকেটাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামেন তারা নেপালের বিপক্ষে। যেখানে আগে বল হাতে নেমে ১৩০ রানে পুরো নেপালি দলের ইনিংস গুটিয়ে দেন বাংলাদেশিরা। সহজ লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের যুবরা সফলভাবে ৭ উইকেটের জয় লাভ করে, বলের পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫১ বল হাতে রেখে ম্যাচটি সম্পন্ন করে।

দুবাইয়ের সেভেনস স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এই সিদ্ধান্তের সঠিকতা পুরোপুরি দেখিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা, যারা শুরু থেকে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান।

নেপালের শুরুটা কিছুটা চনমনে হলেও খুব দ্রুতই ধসে পড়ে। দুই ওপেনার সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন। তবে ১৮ রান করা সাহিল প্যাটেলকে আউট করেন সাদ ইসলাম। এর পরে নেপালের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের বলের সামনে দাঁড়াতে পারেননি, ৫৪ থেকে ৬১ রানের মধ্যে পাঁচজন ব্যাটসম্যান ফিরে যান। উল্লেখ্য, ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাত্র ৬১ রানে নেপাল দলের পাঁচটি উইকেট পড়ে যায়। ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পরে দলটির ব্যাটিং ধস নামে, এবং স্কোর বাড়তেই থাকে উইকেট হারানোর ধারাবাহিকতা। অবশেষে, ১৩০ রানেই শেষ হয় নেপাল দলের ইনিংস। এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের বোলিংয়ে দারুণ পারফর্ম করেন সবুজ, যিনি নেন তিনটি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনার জাওয়াদ আবরার শুরুতেই আক্রমণ চালান। তবে শুরুটা ভালো হলেও চতুর্থ ওভারেই হঠাৎ বিপর্যয় ঘটে। ওই ওভারে রিফাত বেগ ও তামিম আউট হয়ে যান। রিফাত ৭ বলে ৫ রান করেন এবং তামিম মাত্র ১ বল খেলেই ১ রান করে ফিরে যান।

এর পরে জাওয়াদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কলাম সিদ্দিকী অ্যালেন। এক প্রান্ত ধরে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছিলেন জাওয়াদ, তার সাহসী খেলায় সহযোদ্ধা হিসেবে সফল হন কালাম। এই জুটির ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিয়ে আসে। চাপের মধ্যে থেকেও আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে খেলছিলেন জাওয়াদ। তিনি তুলে নেন এক অসাধারণ ফিফটি। এই ওপেনার আগের ম্যাচেও জয়ী রূপে দেখিয়েছেন তার দক্ষতা। শেষের দিকে কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন।

শেষ পর্যন্ত, অপরাজিত থাকেন জাওয়াদ আবরার, যিনি ৬৮ বলের মোকাবেলায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার পারফরম্যান্সের সঙ্গে সহায়তা করেন রিজান হোসেন, ৮ বলে ১২ রান করেন। এই জয় নিয়ে বাংলাদেশ দল ১৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ শেষ করে। এই জয়ে তারা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আসরে নিজেদের শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd