ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান জানিয়েছেন, হাদির ওপর হামলাকারী সন্দেহভাজন ফয়সাল ও তার সহযোগীরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে গেছে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বিজিবির পক্ষ থেকে। তবে, সীমান্তে তাদের পা ফেলার সাহায্য করতে পারে এমন মানবপাচারকারী হিসেবে ফিলিপ সেনাল নামে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আজ সোমবার ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১২ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকায় হামলার ঘটনাগুলোর পরই রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সীমান্তের স্পর্শকাতর পয়েন্ট, প্রবেশ ও বহির্গমন পথগুলোতে বিজিবির টহল আরও জোরদার করা হয়। ময়মনসিংহ ও শেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে একাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়, যাতে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে সতর্ক থাকা যায়।
তাদের জানান, শনিবারও পুরো দিন ধরে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা carried on ছিল, স্থানীয় ক্ষত্র ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা টিম পাঠানো হয়েছে, যাতে সীমান্ত অখণ্ডতা রক্ষা করা যায়।
কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এখনও নিশ্চিত নই যে হামলাকারীরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গেছে কি না। পুলিশও নিশ্চিত নয়। আমাদেরভাবে দু’টি সম্ভাবনা মাথায় রয়েছে—এক, যদি তারা পেরিয়ে যায়, তাহলে কে তাদের সাহায্য করছে? অন্যদিকে, তারা যদি না পেরেও থাকে, তবে তাদের ঠিকানা বা আশ্রয়ের স্থানের খোঁজ চলছে।
বিজিবি ফিলিপ সেনালকে ধরার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে। ফিলিপ ধরা গেলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে তারা পাচারকারী কি না, তা জানতে।
অভিযানের সময় ফিলিপের স্ত্রী ডেলটা চিরান, শশুর ইয়ারসন রংডি ও মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, বারোমারি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে বেঞ্জামিন চিরামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply