জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার প্রতি স্বাগত জানিয়ে করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে একই সঙ্গে তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এবং অন্তর্বতী সরকারের নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে, দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা করতে আন্তরিকতা দেখিয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন, এ জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে, তারা নিরপেক্ষ ও সুসংহতভাবে দায়িত্ব পালন করবে এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে সদিচ্ছার মাধ্যমে কাজ করেছে, কিন্তু তাদের ওপর আমাদের আস্থা দ্বিধার মধ্যে রয়েছে। কারণ, তাদের গঠন প্রক্রিয়ায় কিছু ভুল ছিল এবং কিছু দল তাদের নিয়োগ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করবে তারা দলীয় নয় এবং দেশের জনগণের পক্ষে। এনসিপি মনে করে, আসন্ন নির্বাচনের মধ্যে লন্ডন ডিলের ছায়া রয়েছে। তারা বলেছে, যদি এই নির্বাচন দেশের সব দল ও জনগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতো, তবে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আরও দৃঢ় হতো। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করব। তবে প্রত্যাশা করি, ভোট কেন্দ্রগুলো যেন জনগণের এবং অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। যেসব অশুভ শক্তি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ে যুক্ত ব্যক্তি ভোট কেন্দ্র দখল করতে চাইবেন, তারা যেন তা না পারে। তবে আইনের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আঠাত্মকভাবে পরিচালনা করার জন্য আমাদের মনে হয়, বর্তমান কমিশনের পুনর্গঠনের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে তিনজনের ওপর হামলা হয়েছে, ঢাকায় এনসিপির কাজের জন্য একজন সাংবাদিক মারধর করা হয়; বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখা যাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন জন্য পেশিশক্তি, টাকার প্রভাব এবং গডফাদার সংস্কৃতি নতুন করে সুরক্ষা চাই। ভবিষ্যতে বিএনপির সংস্কারপন্থী অংশের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই সরকার যদি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে না পারে, তবে সেইসব ব্যক্তি ওোপদেশ নিয়ে গিয়েছিলেন যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, তারা জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এখন সেই ভয় দূর হয়েছে বলে তিনি আশাবাদী, उनसे আশা করেন তারা ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু সংস্কারের পক্ষে দাঁড়াবে।
Leave a Reply