নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার প্রাক্কালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বার্তা দিলেন, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আজকের দিনগুলোতে বাংলাদেশের সব কর্মী ও নেতাকর্মী এখানেই উপস্থিত আছেন, আর এই মুহূর্তে আমাদের আদর্শ নেতা খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন। এই ঘোষণা প্রাসঙ্গিক, কারণ এটি বিকেলবাস্তবতার সাথে একসাথে দেশবাসীর প্রত্যাশার কথাও বোঝায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এই কর্মশালায় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল স্পষ্ট করে বলেন, যখন আমাদের নেতা দেশে ফিরবেন এবং বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন, তখন পুরো দেশ যেন কেঁপে উঠে। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সেই দিনটি আমাদের স্বপ্নের দিন, যখন আমরা বাংলাদেশের চেহারা পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হব।
তিনি আরো বলেন, আমরা উন্নতির পথে এগোতে চাই, প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নেতার দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত করতে আমাদের অঙ্গীকারের সাথে এগিয়ে যেতে হবে।
মির্জা ফখরুল যোগ করেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন হলো নির্বাচনে জয় লাভ। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে যথাযথ পথে নিয়ে যেতে পারব। অনেক বাধা-প্রতিবন্ধকতা সামনে আসবে, নানা প্রচারণা চলবে। কিন্তু আমাদের দৃঢ় সংকল্প, বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।
তিনি এও বলেন, ১৯৭১ সাল আমাদের অস্তিত্বের অংশ। অত্যন্ত জোরে উচ্ছসিত করে বলেন, আজকের প্রজন্মের কেউ যদি বলে ১৯৭১ সালের প্রজন্ম নিকৃষ্ট, তবে এটা কতটুকু দুঃসাহসের কথা! তারা যেন এমন দুঃসাহস দেখাতে না—এ বিষয়ে স্পষ্ট হুঁশিয়ার করেন।
আরো বলেন, আজ কিছু শক্তিশালী দৃষ্টি ঝুলে আছে, অন্ধকারের মধ্য দিয়ে যেন একটা কালো থাবা বেরিয়ে আসছে। অন্যদিকে, নতুন ফ্যাসিবাদের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবনা রয়েছে। ধর্মের অপব্যবহার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি চলছে; এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।
মির্জা ফখرুল জনগণের মনোভাব বুঝতে ও তার প্রতি সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বলেন, এই আলোচনা শুধু শোনা বা নোট করার জন্য নয়, তা জনসমক্ষে তুলে ধরাতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে, বিএনপি পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে এই দৃষ্টিভঙ্গি আরও স্পষ্ট করতে হবে।
এছাড়া, বিএনপি মহাসচিব বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ও দোয়া চান।
অতীতের কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা ও একটি পরিকল্পনা নিশ্চিত করে এই আলোচনা যেহেতু চলছিল, বিকালে দেশের গণমানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দেশের নেতা তারেক রহমান।
Leave a Reply