সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন বেলুচিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান সেনা নিহত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘর্ষে আবারো হতাহতের ঘটনা যুদ্ধবিরতিতেও নিহত মানুষ, ইসরায়েলি লাশ গুমের অভিযোগ জাপানে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সতর্কতা জারি হুমায়ুন কবীরের লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত ও বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঘোষণা মাস্টাররোলের ১০২ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে পরিপত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত দেশের সংকট মোকাবিলায় খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অভিভাবক, জনগণের আশা ও দোয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অবদান অবিস্মরণীয় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রাম খুলনা বিভাগীয় ইজতেমা: সাদপন্থীদের ইসলাম পরিপন্থী আখ্যা
বেনিনে অভ্যুত্থান চেষ্টা, সরকার বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

বেনিনে অভ্যুত্থান চেষ্টা, সরকার বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

আফ্রিকার দেশ বেনিনে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানো হয়েছে। রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ভবন দখল করে একটি অংশের সেনাসদস্যরা ঘোষণা করে, তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালোনকে সরাতে চাইছেন। তবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় দ্রুত নিশ্চিত করেছে যে, প্যাট্রিস তালোন নিরাপদে আছেন এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সেনারা টেলিভিশনে হাজির হয়ে বলেছে, তারা একত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্যাট্রিস তালোন আর দেশের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না। এই সেনা দলটি নিজেদের জানিয়েছে, তারা একটি নতুন সামরিক কমিটি গঠন করেছে, যার নাম মিটিলিটি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন (সিএমআর)।

কিছুক্ষণ পরে প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট তালোন এখন নিরাপদ আছেন এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে।

ফরাসি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বেনিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলুশেগুন আদজাদি বাকারি বলেছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। তিনি আরও বলেছেন, একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা হয়েছে, তবে আশা করা যায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশ, রোববার সকালে বেনিনের রাজধানী কোটোনুর বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালোনের বাসভবনের কাছাকাছি ক্যাম্প গেজো এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যায়, যা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এই গুলি চালানো হয়েছিল নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, এবং অনেকে দ্রুত ঘরে আশ্রয় নেন।

এর মধ্যেই সেনাবাহিনীর অর্ধেক অংশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণের দাবি জানায়। এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেয় লেফটেন্যান্ট কর্নেল তিগ্রি পাসকাল, বলেন তারা দেশের সমস্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছেন।

ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বেনিনে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য ফ্রান্সের দূতাবাস জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, পরিস্থিতি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে।

এসব তথ্য সূত্র হিসেবে কাজ করছে বিবিসি, রয়টার্স এবং আল-জাজিরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd