সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন প্রতারনা ও প্রাণনাশের হুমকি মামলায় মুখ খুললেন মেহজাবীন আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন শাওনকে ‘রাজাকার’ বলে অপপ্রচার করে বুলডোজার নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অভিনেত্রী পায়েল সরকারের কাছে পরিচালকের যৌন সুবিধা চাওয়ার অভিযোগ, মুখ খুললেন তিনি মিথিলা জিতলে পাবেন ব্যক্তিগত বিমান, তিন কোটি টাকার পুরস্কার, নিউইয়র্কে ফ্ল্যাট বাংলাদেশ-ভারত নারী ক্রিকেট সিরিজ স্থগিতের আশঙ্কা ২২ বছরের অপেক্ষা শেষ, বাংলাদেশ জিতল ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটে সহ-অধিনায়ক হিসেবে শান্ত, মিরাজ ও সাইফ ভারতকে হারানোর জন্য হামজা-জামালদের ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা ভারতের বিপক্ষে ২২ বছর পর জয় বাংলা ফুটবল দলের জন্য লজ্জার হার
গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পের প্রস্তাব পাস, রাশিয়ার কড়া সতর্কতা

গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পের প্রস্তাব পাস, রাশিয়ার কড়া সতর্কতা

গাজায় শান্তি ফেরানোর নামে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে রাশিয়া রাজনৈতিক ও উপনিবেশিক মনোভাবের প্রতিফলন বলে মনে করছে। গত ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে, যেখানে গাজা অঞ্চলে এই আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করার প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে এর ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানানো হলেও রাশিয়া কেন ভোটদান থেকে বিরত থাকল, তা নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চলছে। রাশিয়ার জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া মনে করেন, এই প্রস্তাব স্বচ্ছতার অভাবে এবং ফিলিস্তিনিদের মতামত উপেক্ষা করে তৈরি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই নথি যেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অজুহাত হয়ে না দাঁড়ায়। ইসরাইল ও অবাধ পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর এই দলিল যেন নিজস্ব স্বার্থের জন্য ব্যবহৃত না হয়।’ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, এই পরিকল্পনাটি উপনিবেশিক যুগের চিন্তাভাবনার মতো, যেখানে ফিলিস্তিনিদের মতামত গুরুত্ব পেত না। তিনি আফসোস করে বলেন যে, এই প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী কীভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে কাজ করবে, সেই স্পষ্টতা নেই। তিনি মনে করেন, এই বাহিনী গাজার পরিস্থিতি পরিচালনার জন্য নয় বরং আরও যুদ্ধোমুখী অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, রুশ দূত বলেন এই বাহিনী ‘রামাল্লার মতামত বা স্বায়ত্বশাসনকে বিবেচনা না করে স্বেচ্ছাচারীভাবে কাজ করতে পারে।’ নতুন এই বাহিনীতে করোন তুরস্ক, কাতার ও মিসর ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত গাজার পুনর্নির্মাণ ও নিরাপত্তার অজুহাতে এই বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প এই ভোটকে ‘ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ দাবি করে বলেছেন, আরও উত্তেজনাপূর্ণ ঘোষণা আসবে। অপর পাশে হামাস এই পরিকল্পনাকে চাপিয়ে দেওয়ার ‘আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে তারা কখনো অস্ত্র দেয়া বন্ধ করবে না। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও সতর্ক করে বলা হয় যে, এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, যুদ্ধাপরাধের দায়বদ্ধতা এবং ক্ষতিপূরণের মৌলিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd