আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতে পলাতক থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ Penh গেছে। এই রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের এই রায় তারা প্রত্যক্ষ করেছে। ভারত নিজেকে বাংলাদেশের কাছাকাছি প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, তারা সবসময় বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাবে। স্বার্থের জন্য তারা শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার পথে পাশে থাকবে। তবে রায় ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশ ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত এই দুই নেতাকে দ্রুত বাংলাদেশে হস্তান্তর করার জন্য। এর কোনও প্রতিক্রিয়া ভারত থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ সরকার বলছে, এই দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তির যদি অন্য কোনও দেশের আশ্রয় নেয়, তবে তা খুবই অবমাননাকর ও অন্যায় হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ভারত সরকার যেন দ্রুত তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়—এটাই তাদের দাবি। এর আগে বাংলাদেশ অসংখ্যবার ভারতকে লিখিত ভাবে অনুরোধ করেছিল, কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অনেকেরই প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের মনোভাব ও সিদ্ধান্ত কি হবে। উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই ও আগস্টের মধ্যে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে এই অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান। এছাড়া, ঘটনাক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছর জেলের সাজা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন এই ট্রাইব্যুনাল তাঁদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দাবি করে, পাশাপাশি দেশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও শহীদদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে এই রায়ের ফলে শেখ হাসিনা যে ভারতের আইন(?:বা) বা মানসিকতা অনুযায়ী ফেরত আসবেন, সেটি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
Leave a Reply