সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শাবনূর: আমি জানি না সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা হাসান মাসুদ চেন্নাই শহরে রজনীকান্ত ও ধানুশের বাড়িতে বোমা হামলার ভুয়া হুমকি, পুলিশ তৎপর সালমান শাহ হত্যা মামলায় সামিরার মা লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চলন্ত মোটরসাইকেলে দাঁড়িয়ে সিনেমার প্রচার, গ্রেপ্তার অভিনেতা খুলনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাঁতার প্রতিযোগিতার সমাপনী এবং পুরস্কার বিতরণ বিশ্বকাপের জন্য আকাশে ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা সৌদি আরবের বাংলাদেশের জন্য শেষ সুযোগ ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে বিপিএলে অংশ নেবে আগামীতে ১০ দল বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী রাজনৈতিক সংকটের জন্য

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার দায়ী রাজনৈতিক সংকটের জন্য

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর জনগণ দুটি ব্যালটে ভোট দেবে—একটি প্রার্থীর জন্য, আরেকটি গণভোটের জন্য। এভাবে ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ঐকমত্যের চূড়ান্ত নথিতে বিএনপির মতভেদ বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ গোপন করে আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনা বাস্তব দৃষ্টান্ত যে, সরকারের আত্মবিশ্বাসের ওপর আঘাত হেনেছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার পুরো দায়ীদেন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। বিএনপি মহাসচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার যে কমিশন গঠন করেছে, তারা প্রায় এক বছর আট-নয় মাস ধরে নানা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে এসেছে। তারা সংস্কার ও অন্যান্য বিষয়ে বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকায় আমরা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছি, যা মূল সিদ্ধান্তে ঐকমত্যের প্রতিফলন।

তিনি বলেন, যখন আমরা নির্বাচনে যাবো, তখন ঐকমত্যের বিষয়গুলো আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে থাকবে। জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা পার্লামেন্টে তা পাশ করব এবং দেশের পরিবর্তন ঘটাব। তালগোলে না দিলে, সেটি বাদ পড়বে।

ফখরুলের ভাষ্য, সেদিন, ১৭ তারিখে, বৃষ্টি হচ্ছিল, তখন সবাই এক সাথে যুক্ত ছিলাম। সবকিছু এলোমেলো হওয়ার কারণে, আমরা আবার একত্রিত হয়ে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে স্বাক্ষর করেছিলাম। তবে পরে দেখা গেল, প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপনকালে বহু পার্থক্য দেখা গেছে, বিশেষ করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’গুলো সেখানে ছিল না। ফলে আমরা বলেছি, এটা ‘বিশ্বাসভঙ্গ’ যা জনগণের আস্থা ভেঙে দিয়েছে।

অভিযোগে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে তারা প্রতারণা করেছে। আমরা যে বিশ্বাসযোগ্যতা আশা করেছিলাম, তারা তা রাখতে পারেনি। ফলে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য পুরো দায়ী অন্তর্বর্তী সরকার।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপি হলো সংস্কারকামী দল। এর জন্ম ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে, যখন তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি দেশ এলে সব পত্রিকা খুলে দেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনেন।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন। পরে নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থার পরিবর্তে পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে ফিরে আসেন। তিনি নির্বাচন করে সরকারের মোটামুটি স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন, যা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন ও দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd