 
								
                            
                       বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তাদের লক্ষ্য ২০৩৪ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে আরও সবল ও সমৃদ্ধ করে তুলতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ে তোলা। এই অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা দেশের প্রত্যেক নাগরিক, বিশেষ করে নারীর, মাঝে গর্বের সঙ্গে দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হবে। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এই পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন।
আরও প্রত্যাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি কর্মজীবী মায়েদের জন্য কাজের ঘণ্টা কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। এর পাশাপাশি, নারীদের জন্য শিশু পরিচর্যা (ডে-কেয়ার) ব্যবস্থাকে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন কৌশলের অন্যতম অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন তিনি। তারেক রহমান ব্যাখ্যা করেন, যখন কোনও তরুণী মা পর্যাপ্ত শিশু পরিচর্যার সুযোগ পান না거나 চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন, তখন দেশের সম্ভাবনা, উৎপাদনশীলতা ও অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিএনপি এই লক্ষ্য অর্জনে দেশের সবার জন্য আধুনিক ও গুণগত মানের ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক ডে-কেয়ার ব্যবস্থার সাথে সঙ্গে নিয়োগকর্তাদের জন্য কর সুবিধা ও সিএসআর ক্রেডিটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। নারীকর্মী ও শিশু কেয়ারের মানদণ্ড অনুসারে প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে কাজের সুবিধা বাড়ানো হয়েও এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। এর ফলে নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, পরিবারের আয় উন্নত ও দেশের জিডিপি লক্ষ্যমাত্রার একটি অংশ যোগ হওয়া সম্ভব হবে।
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একটি বড় সুযোগ। আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু পরিচর্যার সুবিধা থাকলে কারখানা শ্রমিকরা দীর্ঘ সময় ধরে কর্মঠ থাকেন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের খরচ কখনোই উঠে আসতে পারে। তিনি বলেন, শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা কেবল সামাজিক প্রয়োজনই নয়, এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। ডে-কেয়ার সেন্টার তরুণ নারী ও মা-শ্রমিকদের কর্মজীবনে সফলভাবে সংযুক্ত করে।
সংক্ষেপে, তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৩৪ সালের মধ্যে এমন একটি উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি তৈরি করা যেখানে লাখো লাখো মানুষ যেমন কর্মসংস্থানে থাকবেন, নারীর ক্ষমতায়ন হবে তেমনি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি নিশ্চিত হবে। নারীর সম্ভাবনাকে সীমিত করা কোনও ধারণাকে তিনি মেনে নেবেন না। শিশুপালন, সমান মজুরি ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এই বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনীতির মূল ভিত্তি। শেষমেষ, তিনি আহ্বান জানান, আসুন একসঙ্গে এগিয়ে যাই, একটি সমাজ গড়ি যেখানে প্রতিটি মা ও ছাত্রী স্বাধিকার ও স্বস্তি পাবে, এবং সমাজের সব অংশগ্রহণ অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি হয়ে থাকবে।
Leave a Reply