বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, চলতি মাসের শুরুতে কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনারা মোট ৭১ বার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। এর ফলে কমপক্ষে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৪৩ জন আহত হয়েছেন, এখবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফা সীমান্ত ক্রসিং ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ থাকবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে যথেষ্ট প্রচেষ্টা না করে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য তুচ্ছ অজুহাত দেখানো হচ্ছে।
তবুও, হামাস ইতিমধ্যেই আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। তারা বলছে, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ করে দিতে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও, রাফা ক্রসিং এখনও বন্ধ রয়েছে। এটি গাজা শহর থেকে প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে মিশর সীমান্তে অবস্থিত, মাত্র ৩০০ মিটারের পথে গঠিত এই চেকপোস্টটি মূলত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ত্রাণ পৌঁছানোর প্রধান মাধ্যম।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতের খবর অনুযায়ী, হামাস জানিয়েছে, রাফা ক্রসিং বন্ধ থাকার কারণে মৃতদেহ উদ্ধার ও স্থানান্তরে উল্লেখযোগ্য বিলম্ব হবে। গাজায় বন্দি ও মৃতদেহ ফেরত দেওয়াও এই যুদ্ধবিরতির অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফা ক্রসিং আবার খুললে সব মৃতদেহের পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে গাজায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৮ হাজার ১১৬ জন নিহত এবং ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।
Leave a Reply