শিক্ষাক্ষেত্রে সহিংসতার অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের শিলচর শহর থেকে পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা শিলচর শহরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এনআইটি) অধ্যয়ন করছিলেন।
তারা কনসিল অব কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর অধীনে বৃত্তির আওতায় এনআইটিতে ভর্তি হয়েছেন। এই পাঁচজনই সম্মান (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিলচর এনআইটির সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে অংশ নেন এই পাঁচ শিক্ষার্থী, যারা রড, ছুরি ও স্ক্রু ড্রাইভার जैसी ধারালো অস্ত্র দিয়ে চতুর্থ বা শেষ বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্য থেকে অন্তত দুজনের অবস্থা সংকটজনক।
আহত শিক্ষার্থীদের শিলচর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল (এসএমসিএইচ)-এ ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলার সময় এই পাঁচ শিক্ষার্থী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
এনআইটি শিলচর কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথমিক তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টার বা এক বছর ক্যাম্পাসে থাকতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পেট্রোৎসাহে তারা ক্যাম্পাসের হোস্টেল ত্যাগ করে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাদের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে, এই এক বছর তারা ভারতে থাকতে না পারার জন্য দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
Leave a Reply