সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট হলিউড নির্মাতা রব রেইনারের মরদেহ স্ত্রীসহ উদ্ধার মেসির সঙ্গে ছবি নিয়ে কটূক্তি: শুভশ্রীর জন্য থানায় অভিযোগ রাজের হাদিকে নিয়ে পোস্টের পর চমক-মামুনকে হত্যার হুমকি অভিনব পোশাকে জয়া আহসানের বিস্ময়কর প্রদর্শনী হায়দরাবাদে মেসির সংক্ষিপ্ত but দর্শকদের মনজয় মেসিকে ভারতে আনার মূল আসামি শতদ্রু দত্তের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজত রূপসায় অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ এশিয়া কাপ যুবদলে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয় আইপিএল ও পিএসএল আবারও একই দিনে শুরু হচ্ছে, দুটির সূচী সংঘর্ষস্থাপনা
তারেক রহমানের ভাষণে বদলে গেছে চেহারা, বদলায়নি চরিত্র

তারেক রহমানের ভাষণে বদলে গেছে চেহারা, বদলায়নি চরিত্র

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনও সক্রিয়। এ মানসিকতা আর ষড়যন্ত্রের রঙ-চেহারা সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যে পাল্টে গেলেও, তাদের চরিত্র বা মূল উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। सोमবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্টানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় দিন দেশের ইতিহাসে অমলিন হয়ে থাকবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, এই এই দিনে উদযাপন ও গৌরবের অনুভূতি বজায় থাকবে। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সাগরের বুকে ভেসে ওঠা কোন ভূখণ্ড নয়। লাখো মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ ও মায়েরা-নারীদের সম্মানচরমে তার বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত। এই ইতিহাসে নির্মিত বিভিন্ন গল্প, কবিতা রচিত হয়েছে দেশপ্রেমের স্বৈরাচারী ও মুক্তিযুদ্ধের ভক্ত-ভক্তাদের স্মৃতি ও গৌরবের জন্য। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কেন্দ্রীয় বিশদ লেখনী, যেমন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘একটি জাতির জন্ম’ নিবন্ধ, আমাদের জন্য এক অনন্য দলিল।

তারেক রহমান বলেন, একটি পতিত দলীয় স্বার্থে স্বাধীনতার মূল ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি হীন মহল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অপব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে এ চক্র। তবে আমাদের পক্ষ থেকে দৃঢ় প্রত্যয়, যতই ষড়যন্ত্র হোক, আমরা এই সত্য উদঘাটন ও রক্ষা করবো।

বিএনপি প্রধান আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি স্বনির্ভর, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হবে এই বিজয় দিবসের মূল অঙ্গীকার। তিনি মনে করেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত হবে না, ততদিন এই দেশের স্বাধিকার স্থায়ী হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে বারবার। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ইতিহাসই এই সত্যের প্রমাণ দেয়। জনগণ ক্ষমতাহীন থাকলে, রাষ্ট্রযন্ত্র শক্তিশালী হয় না।

ভোটের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সত্যিকার গণতন্ত্রের জন্য দরকার হয়, জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনসমর্থন নিশ্চিত করা। বিএনপি সবসময় বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ ও জনগণের অধিকার রক্ষায় অপরিহার্য।

তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন অজুহাতে ওশিক্ষা হয়ে অনেক চক্র দেশের নির্বাচনী কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে চেয়েছে। তবে, সব বাধা উপেক্ষা করে, দেড় দশক পর নির্বাচন কমিশন সামান্যই সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে ষড়যন্ত্রের কিছু অংশ এখনো থেমে নেই। ওসমান হাদির বিরুদ্ধে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও এরই অংশ। এর পিছনের মূল কারণ ও পারিপার্শ্বিক প্রশ্নগুলোতে গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের হাতে প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ পাবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিশ্বাস্যভাবে দেখতে চাইলে, বা নির্বাচন ছাড়াই থাকলে কারা লাভবান হবে? ভোট ছাড়া দেশ এগোতে পারবে না। ফলে, এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলে ষড়যন্ত্রকারীর চেহারা জানা যাবে। তিনি বলেন, যারা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের মোকাবেলা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।

তিনি বলছেন, যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে, তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধীরস্থিরভাবে এগিয়ে গেলে, ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটে যেতে বাধ্য হবে।

তারেক রহমান বলেন, ইতিহাস proves, ১৯৭১, ১৯৭৫, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবই জনগণের ঐক্যবদ্ধতাই বিজয়ের মূল চাবিকাঠি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব কিছু করবেন। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন, জনগণের সমর্থন আদায় করবেন—এ বিশ্বাস তার।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়, এটি দেশের স্বার্থ, ভবিষ্যতপ্রজন্মের স্বপ্ন, আশা, স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

অবশেষে, তিনি সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান বিজয় দিবসের এই গৌরবজনক দিন উপলক্ষে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাব। আগামী নির্বাচনেও জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd