পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফাইজ হামিদকে দেশের একটি সামরিক আদালত ইতোমধ্যে ১৪ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি বৃহস্পতিবার অধিক্ষেত্রে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মোট চারটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থের ক্ষতিসাধনের জন্য সরকারি সিক্রেট আইন লঙ্ঘন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ, সরকারি সম্পদ ও কর্তৃত্বের অপব্যবহার। এই মামলা চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আইনের প্রতি מלאה সম্মান দেখিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই বিচার প্রক্রিয়া শেষে সামরিক আদালত আজ এই রায় প্রদান করে। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তকে সব ধরনের আইনি সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি উচ্চতর আদালতের মাধ্যমে আপিলের সুযোগও পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই বিচারে ফাইজ হামিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা, ভূ-খণ্ড দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অভিযানের নামে মূল্যবান সম্পদ চুরির অভিযোগও আনা হয়েছে। তবে এই অভিযোগগুলো এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।
ফাইজ হামিদ ২০১৯ সালে আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২১ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তবে, ২০২৪ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। বিশেষ করে, ২০১৭ সালে তার সম্পত্তিতে অভিযান চালানোর সময় সোনা, হীরা, নগদ অর্থ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র জব্দ করে সেনাবাহিনী। এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে শুরু করে। আগস্ট ২০২৪’র শুরুর দিকেই তাকে গ্রেফতার করে আদালত।
এই খবরের সূত্র হিসেবে দিয়েছে ডন ও জিও টিভি।
Leave a Reply