সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন ‘সিনেমা বানিয়েও এত টাকা পাইনি’, ইউটিউবের মাধ্যমে বিপুল আয় ফারাহ খানের প্রখ্যাত নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম আর নেই বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই গায়িকা রোজাকে গুলি করে হত্যা, হাসপাতালে মৃত্যু সম্পত্তির অমূল্য খাতি রেখে গেলেন ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী কিছুই পাবেন না! বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে চমক রাখলেন তরুণ ক্রিকেটার বাংলাদেশের সুপার ওভারে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ মেসির এক গোল এবং তিন অ্যাসিস্টে মিয়ামি এমএলএস কাপের দৌড়ে খুব কাছাকাছি বাংলাদেশের শক্তিশালী পারফরম্যান্স: ব্রুনেইকে ৮-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় আগে থেকেই জানা গেল, ভারত-পাকিস্তান মহারণের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনের জন্য ‘হুমকি’ ও ‘মাফিয়াতন্ত্র’ কায়েমের ইঙ্গিত: চট্টগ্রাম জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা

নির্বাচকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনের জন্য ‘হুমকি’ ও ‘মাফিয়াতন্ত্র’ কায়েমের ইঙ্গিত: চট্টগ্রাম জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা

চট্টগ্রামের জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী দ্বারা দেওয়া ভাইরাল বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জরুরি বিবৃতি প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। দলটির দাবি, আফজাল বক্তব্যটি নির্বাচনের পরিস্থিতিতে একটি শঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যেখানে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, হুমকি-ধামকি এবং প্রশাসনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার গভীর ইচ্ছা প্রকাশ পায়।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই পরিস্থিতির কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, পাবলিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি, গত ২২ নভেম্বর শাহজাহান চৌধুরী এক বক্তৃতায় পুলিশ-প্রশাসনকে জামায়াত দলের নেতাদের निर्देशन অনুযায়ী কাজ করতে, মামলার নির্দেশ ও গ্রেফতারি চালাতে বলেছেন। তিনি আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলের মার্কার প্রচার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জামায়াতের প্রার্থী অনুযায়ী উন্নয়ন বরাদ্দ দিতে বলেছেন।

বিবৃতিতে দলটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসনকে রাজনৈতিক দলে পরিণত করার চেষ্টাকরছে যা ভোটের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। তারা আরও জানায়, এই ধরনের বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য জনগণের ভোটাধিকার খর্ব করা এবং প্রশাসনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা যা একদমই কাম্য নয়।

ডটর্য়াটিং করে জানা যায়, বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিযুদ্ধের পর স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ বাংলাদেশ, যেখানে প্রশাসন ও জনসাধারণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নীলনকশা পরিলক্ষিত হচ্ছে যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

নাগরিক পার্টি স্পষ্টভাবে বলেছে, পুলিশ ও প্রশাসন কোনো নির্দিষ্ট দলের গোলাম নয়, তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। দলটি প্রশাসনকে দলীয়করণ করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা প্রত্যাশা করে, বর্তমান সরকার জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে তদারকি ও নিরপেক্ষ রাখবে যাতে সব নাগরিকের ভোটাধিকার সুরক্ষিত হয় এবং একটি সত্যিকার মৌলিক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd