সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড জিতল ‘সাইয়ারা’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু আর নেই অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মৈথিলী ঠাকুর আইরিশদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে শীর্ষে বাংলাদেশ কপিলমুনি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে ধানের শীষ প্রার্থী বাপ্পী বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারীর কাবাডি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা সোহানের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ জিতে গেলো হারিয়েও নজরকাড়া পারফরম্যান্স আসিফের মন্তব্যে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ ও বাফুফের প্রতিক্রিয়া
বিহার নির্বাচনের ফলাফল বিস্ময়কর, শুরু থেকেই সুষ্ঠু নয় : রাহুল

বিহার নির্বাচনের ফলাফল বিস্ময়কর, শুরু থেকেই সুষ্ঠু নয় : রাহুল

বিহার নির্বাচনের ফলাফলে শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রশ্ন উঠছে ভোটের সুষ্ঠতা নিয়ে। ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নেত্রী রাহুল গান্ধী এই ফলাফলের পিছনে নানা ধরনের অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ না দিলেও, ভোট চুরির কথাটি এড়ায়নি। রাহুল জানান, যারা মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বিহারের লাখ লাখ ভোটার, যারা আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন, তার জন্য আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞ। এই বিস্ময়কর ফলাফল আমাদের জন্য এক ধরনের বিপদফুল হয়েছে। শুরু থেকেই এই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে শঙ্কা ছিল।”

বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দুই দফায়। প্রথম দফায়, ৬ নভেম্বর, ১২১ আসনে ভোটগ্রহণ হয় যেখানে ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশের বেশি। এরপর ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১২২ আসনে ভোটগ্রহণ হয়, যেখানে ভোট পড়ে ৬৮ শতাংশের বেশি। মোট মিলিয়ে প্রায় ৬৭% ভোটার অংশগ্রহণ করে এই নির্বাচনে। এই নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল বিজেপি–জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বনাম কংগ্রেস–আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাগাঠবন্ধনের। ফলাফল জানা যায়, ২৪২ আসনের মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছে ২০২টি আসনে জয়, যেখানে মহাগাঠবন্ধনের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে ৩৫টিতে।

বিজেপি জেতার সংখ্যা ৮৯টি আসনে, জেডিইউ ৮৫টি। অন্য জরুরি অংশীদার হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ তার জয়ে অগ্রগতি করেছে। চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ১৯টি আসনে জয় লাভ করে, এবং জিতেন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন আওয়াম মোর্চা পার্টি ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে।

দ্বিতীয় দফা ভোটের তুলনায়, ২০২০ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে কংগ্রেসের ফলাফল বেশ খারাপ। তখন তাদের ৭০ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এবং ১৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবার, ৬১ আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ৬টিতে জয় পেয়েছে। মহাগাঠবন্ধনের আরেক শরিক, আরজেডি, ২০২০ সালে ১৪৪ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এবং ৭৫টিতে জয়ী হয়েছিল। এবার, ১৪৩ আসনে প্রার্থী দিয়ে তাদের জয় পেয়েছে মাত্র ২৫টি।

রাহুল গাঁধী বলেছেন, “আমরা লড়ছি সংবিধান ও গণতন্ত্রের রক্ষার জন্য। কংগ্রেস ও ইনডিয়া জোট এই ফলাফল গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে আর গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি সতর্কতা ও প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন ভবিষ্যতের জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd