সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড জিতল ‘সাইয়ারা’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু আর নেই অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মৈথিলী ঠাকুর আইরিশদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে শীর্ষে বাংলাদেশ কপিলমুনি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে ধানের শীষ প্রার্থী বাপ্পী বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারীর কাবাডি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা সোহানের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ জিতে গেলো হারিয়েও নজরকাড়া পারফরম্যান্স আসিফের মন্তব্যে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ ও বাফুফের প্রতিক্রিয়া
লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪ জনের মৃত্যু

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪ জনের মৃত্যু

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে অবৈধভাবে ইউরোপে যেতে চাচ্ছিলেন এমন অভিবাসীদের জন্য এটি এক হতাহতের দুঃখজনক ঘটনা। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশি সহ কমপক্ষে চার জনের প্রাণহানি হয়। এই ঘটনার মধ্যে অন্য একটি আলাদা নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটেছে যেখানে অর্ধশতাধিক সুদানি ও অন্যান্য দেশের অভিবাসী ঝরেছেন প্রাণের ঝুকিতে। তবে সেই ঘটনায় হতাহত হয়নি।

ঘটনাটি ঘটে রোববার (১৬ নভেম্বর) উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস শহরের উপকূলে। লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে এই নৌকাগুলোর উল্টে যাওয়ার খবর তারা পায়। প্রথম নৌকায় ছিল বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক, যাদের মধ্যে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য নৌকাতে ছিল মোট ৬৯ জন; এর মধ্যে দুইজন মিসরীয়, আরও ৬৭ জন সুদানি, যাদের মধ্যে আটজন শিশু। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জীবিতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহের মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করে।

লিবিয়া বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ইউরোপ যেতে অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এই দেশটি অভিবাসীদের জন্য একটি ট্রানজিট রুটে রূপ নিয়েছে। এখন সেখানে Sাআড়ে ৮ লাখের বেশি অভিবাসী অবস্থান করছেন। গাদ্দাফির পতনের পরে দেশটি নানা মিলিশিয়ার সংঘর্ষে জর্জরিত হয়েছে, এবং যেখানে সাধারণ অভিবাসীরা নিয়মিত নিপীড়ন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন।

অধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘ জানায়, লিবিয়ায় শরণার্থীদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন দিন দিন বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থের সহায়তা দিলেও, অভিযোগ উঠেছে যে এই কোস্টগার্ডের একজন অংশ ‘নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত’ মিলিশিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। এছাড়াও, ইউরোপের দেশগুলো নিখোঁজ উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়ায় সমুদ্রপথে যাত্রা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং দাতব্য সংস্থাগুলোর ওপর নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাধা দিয়ে তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরো গুরুতর করে তোলা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd