জর্জিয়ায় তুরস্কের একটি সামরিক পরিবहनকারী বিমান বিধ্বस्त হওয়ার ঘটনায় ২০ সেনা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এখন দুর্ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার, যখন এই কার্গো বিমানটি আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনার শিকার হয়। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমাদের বীর সহযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন।’
তরিকদলের সূত্রে জানা গেছে, জর্জিয়ার কাখেতি অঞ্চলের সিগনাগি এলাকায় বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি দেশের সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঘটে। এটি ২০২০ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সামরিক বিমান দুর্ঘটনা।
জর্জিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সাকারোনাভিগাৎসিয়া জানিয়েছে, বিমানটি দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশের পরই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং কোনো বিপদ সংকেত পাঠায়নি।
আজারবাইজানি গণমাধ্যমের এক ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর আকাশে কালো ধোঁয়া বিশাল স্তম্ভ উঠছে এবং চারপাশে বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়েপ এরদোয়ান এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে, আজারবাইজান ও জর্জিয়ার নেতারা, ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে এবং তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাকও শোক জানিয়েছেন। মার্কিন প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন, যেটি এই বিমানটির নির্মাতা, এক বিবৃতিতে জানায়, তারা তুরস্ক ও জর্জিয়াকে তদন্তে প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দেবে।
সি-১৩০ হারকিউলিস হলো চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী হিসেবে জনবল, সরঞ্জাম ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করে থাকে।
Leave a Reply