সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র: প্রথম পুরস্কার জিতেছেন ০১০৮৩৩১ নম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত: পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের বোর্ড বাতিলের কারণে গ্রাহকদের সেবা অব্যাহত থাকবে পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করল ডিএসই ও চিটস্টক দুর্বল ৫ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রগতির মাইলফলক: মির্জা ফখরুল নাহিদ ইসলাম: জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকবে না মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: সরকার নির্বাচন ব্যাহত করতে নিজেই পরিস্থিতি তৈরি করছে বিএনপি গণভোটে আলোচনা করতে রাজি নয়, জামায়াতের হামিদুর রহমানের দাবি জনমত গঠনে রাজপথে জামায়াত: হামিদুর রহমান
মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টের মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মদান স্মরণ করে ফ্যাসিস্ট রাশিনারা দেশ থেকে পলায়ন করে। এই জয় বাংলার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ আরও প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে, কারণ এটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার অন্যতম প্রয়োজন।

তিনি এই বক্তব্য ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ব্যক্ত করেন। এছাড়া, তিনি ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

তারেক রহমান বাংলাদেশবাসীসহ সকলের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পাঠিয়ে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের এই তারিখে জাতি এক নতুন মোড় নেয়। সেনা-জনতার এই বিপ্লব শুধুমাত্র এক পরিবর্তনসাধক ঘটনা নয়, এটি দেশের আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা। এই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে ।

তিনি বলছেন, ৭ নভেম্বরের এই দিনে দেশের যুবসমাজ জাতীয় মুক্তির জন্য রাস্তায় নেমে আসে, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের সংকল্প নিয়ে। তাই এই দিনটি ইতিহাসে অশেষ গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতাত্তোর শাসক গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে একদলীয় বাকশাল গঠন ও গণতন্ত্রের হত্যা।

তিনি বলেন, বাকশালী সরকার কায়েম করে মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলো হরণ করে চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে। এর সময়, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, জাতীয় মুক্তির ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে রাখা হয়। তত্কালীন ক্রান্তিকালে, ৭ নভেম্বর, এই সংকটকালীন সময়ের মধ্যে স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং সাধারণ জনগণের একতারা রাস্তায় নেমে আসে, ফলে জিয়াউর রহমান মুক্তি পান।

এই পরিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রপ্রধান জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে এবং গণতান্ত্রিক চেতনা মুক্ত হয়। মানুষ শান্তি অনুভব করে। তবে, আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্টরা স্বার্থান্বেষী হয়ে ১৯৮১ সালে হত্যা করে জিয়াউর রহমানকে। তিনি শাহাদত বরণ করলেও তার আদর্শ এখনও মানুষের মধ্যে জীবন্ত এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, যা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, আবারো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা নিরীহ নেতা-কর্মীদের দমন করে দীর্ঘ ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংসের অপচেষ্টা চালায়। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি এবং অপশাসনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করে।

তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য প্রিয় নেতাদের বন্দী করে দীর্ঘদিন মুক্তি দেওয়া হয়নি। তিনি সমাজে ন্যায়বিচার ও সুষ্ঠু শাসন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য ওপর আঘাত হানার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই জন্য, আমি মনে করি, ৭ নভেম্বরের চেতনাকে ধারণ করে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে হবে। এখনই সময়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd